বগুড়ায় শুক্রবার রাত ১০টায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক আকারে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। উঠতি বোরো ধান ক্ষেতে পানি জমেছে ও তীব্র বেগে বাতাসের কারণে হেলে পড়েছে ধান গাছ। হেলে পড়া ধান কাটতে মাঠে নেমেছে চাষিরা। ঝড়ে বিদ্যুতের তারে গাছপালা ভেঙে পড়ার কারণে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না।
জানা যায়, বগুড়া শহর ও আশপাশের উপজেলায় দক্ষিণ পূর্বকোন থেকে হঠাৎ করে কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিপাত ও বাতাসের তীব্রতায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। বগুড়ার গাবতলী উপজেলা চত্বরে শহীদ মিনারে অবস্থিত একটি বড় পাকুর, মেহগনি ও একটি ইউক্যালিপটাস গাছ উপড়ে পড়েছে।
ঝড়ের ফলে গাবতলীর জয়ভোগা গ্রামের গ্রাম পুলিশ অনিলের বসতবাড়ি, পৌরসভার ২ নং ওর্য়াডের পূর্বপাড়া গ্রামে গাছ ভেঙে পড়ে মোয়াজ্জেমর ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উপড়ে যাওয়া গাছের নিচে অন্যান্য গাছ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া জেলা শহরের পৌর পার্কে, শহরের সাতমাথা, খোকন পার্কে, জলেশ^রীতলা, খান্দার, ভাটকান্দি, মাদলা, বুজরুকবাড়িয়া, ঢাকন্তা এলাকায় ব্যাপক হারে গাছ ভেঙ্গে পড়ে। গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার কারণে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে প্রায় ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের মালিপাড়ার আশরাফ আলী জানান, রাতে ঝড়ে কলার বাগান নষ্ট, ইউক্যালিপটাস গাছ, কাঁঠালের গাছ উপড়ে পড়েছে। এছাড়া আরো বেশ কিছু গাছের ডালপালা ব্যাপকহারে ভেঙ্গে পড়েছে।
বগুড়া নেসকো (২) নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, জেলা শহরের শিকারপুর, চেলোপাড়া, সাবগ্রামসহ কয়েকটি এলাকায় মেইন লাইনের উপর গাছেল ডালপালা ভেঙে পড়ে। গাছের ডালপালা সরাতে গিয়ে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, ঝড়ে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে হিসাব চলছে। তবে বোরোর ধান মাঠে কিছু হেলে পড়েছে। এখন কাটার সময় বলে তেমন একটা ক্ষতি হবে না।