অনলাইনে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কয়েক লাখ নারী উদ্যোক্তা। একই সাথে সম্ভাবনা ও আগামির স্বপ্নও দেখছেন তারা।তেমনই সম্ভাবনার স্বপ্ন বুঁনছেন পাবনা জেলার গয়েশপুরের নাদিয়া সুলতানা সখি। তার তৈরি নকশি কাঁথা ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশের সকল প্রান্তে।
দেশের শিল্প রক্ষায় অনলাইনে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে তৃণমূল নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নেয় ওমেন এন্ড ই কমার্স ফোরাম (উই)। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নকশি কাঁথা তৈরির উদ্যোগ নেন সখি।
করোনাকালীন সময়ে বাড়িতে বসে না থেকে কিছু করার ইচ্ছা থেকেই তার স্বপ্ন বুঁননের কাজ শুরু হয়। অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কাঁথা পৌঁছে দিচ্ছেন প্রাপকের কাছে। ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ছড়িয়ে গেছে তার শিল্প।
উদ্যোক্তা নাদিয়া সুলতানা সখির তত্বাবধানে কাজ করছেন স্থানীয় প্রায় ২০ জন নারী। বছর ঘুড়তে না ঘুড়তেই ছোট-বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৩৬০ টি কাঁথা বিক্রি করেছেন তিনি। যার বিক্রয় মূল্য ছিল ১২১৩৬০ টাকা। তন্মধ্যে মধ্যে “উই” এর মাধ্যমে ৯৮৭২০ টাকার নকশিকাঁথা বিক্রি হয়েছে।
নাদিয়া সুলতানা সখি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আমাদের কাজের যে গুনগত মান, সেটা যদি আবার নতুন করে তুলে ধরতে পারি, তাহলে আমরা দেশে এবং দেশের বাইরে নকশি কাঁথাকে আবার জনপ্রিয় করতে পারব।
এখানে কর্মরত নারী শ্রমিকেরা বলেন, সপ্তাহে একদিনও আর বসে থাকতে হয়না আমাদের। পেটের দায়ে রাস্তায় রাস্তায় আর ঘুড়তেও হচ্ছে না। কাঁথা তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছি।
উদ্যোক্তার বাবা জনি জানান, ছোটবেলা থেকেই যেকোন কিছুতে ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকতো সখি। সেজন্যই আজও তার সফলতা পাচ্ছে সখি।
সখির নকশিকাঁথা পাওয়ার পর ক্রেতারা তার কাজের প্রশংসা করতে ভূলেন না। ফেসবুকে স্ট্যাটাস, মেসেঞ্জারে ধন্যবাদ বা সরাসরি প্রশংসা করে যান তারা।
রিতা শিকদার নামের একজন ক্রেতা বলেন, নিখুঁত,টেকসই, আরামদায়ক এবং চোখ ধাঁধানো নকশায় তৈরি করে এ কাঁথাগুলো। এজন্যই বারবার সখির কাছ থেকে কাঁথা নিতে আসি।
উদ্যোক্তা বিশ্বাস করেন, একটু সহায়তা পেলেই বাংলাদেশের পণ্য বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করে দেশের অবস্থান আরো উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে।