নিখোঁজের ৩০ বছর পর রংপুরের সুফিয়া বিবির খোঁজ মিলেছে পাকিস্তানে। তার বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের নাওপাড়া কাশিগঞ্জ গ্রামে।
গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) ‘দেশে ফেরা’ নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে সুফিয়া বিবি দেশে ফেরার আকুতি জানান। পরে সেটি ব্যাপক ভাইরাল হলে সুফিয়ার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে শনাক্ত করেন। বুধবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান থেকে বদরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে সুফিয়ার সঙ্গে তার আত্মীয় স্বজনদের ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্য ও সুফিয়া বেগম আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
সুফিয়ার স্বজন ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী নদীর পাশের কাশিগঞ্জ গ্রামের চাঁন মাসুদ ও শরিতন নেছার সংসারে জন্ম হয় সুফিয়া বিবির।
১৮ বছর বয়সে দামোদরপুর ইউনিয়নের সৌলারপাড় গ্রামের জব্বারমিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুফিয়ার। তাদের সংসারে জন্ম হয় দুই কন্যার। কিন্তু পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে প্রায় ৩০ বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সুফিয়া।
এরপর সুফিয়া বেগমের আত্মীয় স্বজনেরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। সবাই ধরে নেয় সুফিয়া বিবি মনে হয় বেঁচে নেই। এরইমধ্যে সুফিয়া বিবির স্বামী ও দুই কন্যার মৃত্যু হয়। গত সোমবার দেশে ফেরা ফেসবুক আইডি থেকে সুফিয়া বিবির ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
সেখানে তিনি বলেন, তার বাড়ি বাংলাদেশে এবং তার নাম সুফিয়া বিবি। তিনি বদরগঞ্জ উপজেলার নাওপাড়া কাশিগঞ্জের বাসিন্দা।
সুফিয়া বিবির ভাতিজা আনোয়ার হোসেন বলেন, আজ ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রায় এক ঘণ্টা কথা হয়েছে। পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে ফুফু কথা বলেছেন। তিনি পাকিস্তানে আর থাকতে চাচ্ছেন না। তিনি দেশে ফিরে পরিবারের সদস্যদের সাথে বাকী জীবন কাটাতে চান। আমরাও তাকে দেশে ফেরাতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আশ্বস্ত করেছি।
বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম ভুট্টু বলেন, বিষয়টি শুনে আমিও আনন্দিত হয়েছি। আমরাও চাই সুফিয়া দ্রুত ফিরে আসুক। সুফিয়ার পরিবারের লোকজন তাকে ফিরিয়ে আনতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যা যা সহায়তা চাইবে, আমরা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।