ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীতে ফ্লাইওভারের ওপরে গাড়ি চাপায় এক মায়ের বুকের নিচ থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। মায়ের মৃত্যু পর কোলে থাকা এক বছরের শিশু অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি। এ ঘটনায় নিহত মা ও জীবিত মেয়ের পরিচয় পাওয়া গেল ৩০ ঘণ্টা পর।
মা তাসলিমা আক্তার (২৬) নরসিংদী সদর থানার পাদুয়ার চর গ্রামের স্বপন আলীর মেয়ে। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুর নাম তাসমিয়া (১)। সে নিহত তাসলিমার মেয়ে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় টঙ্গী পূর্ব থানাধীন স্টেশন রোড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের ওপরে গাড়ি চাপায় ওই নারী মারা যান। তার শরীরের বুকের নিচ থেকে পা পর্যন্ত গাড়ির চাপায় পিষ্ট হয়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কিন্তু সঙ্গে থাকা এক বছরের মেয়ে শিশুটি অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হতাহতদের গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মায়ের লাশ মর্গে ও জীবিত শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তাৎক্ষণিকভাবে মা ও মেয়ে কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরিচয় জানতে পুলিশ বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা ও প্রচারণা চালানোর ৩০ ঘণ্টা পর পরিচয় মিলে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হতাহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশুটিও পরিবারের তত্ত্বাবধানে আছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনা জড়িত গাড়ি চালককে গ্রেফতার ও গাড়িটিকে জব্দ করতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।