গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে এসে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োলের খোকোবাড়ি গ্রামের মারকুস দাসের মেয়েকে বিয়ে করেছিল ইতালির নাগরিক আলিসান্দ্র্রো চিয়ারোমস্তে নামের এক ব্যক্তি।
বিয়ের কিছুদিন পর নবনিবাহিত স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিসা নিয়ে আবার ফিরে আসবেন বলে ইতালিতে ফিরে গেছেন। কিন্তু চলে যাওয়ার পর থেকে সেই নাগরিক বাংলাদেশি নববিবাহিত এ স্ত্রীর সাথে আর কোন যোগাযোগ করছেন না।
এ নিয়ে বাংলাদেশি এই মেয়ের পরিবারে চলছে হতাশা। সেইসময় বাংলাদেশি মেয়েকে ইতালি নাগরিকের বিয়ের ঘটনাটি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর প্রকাশ পায় ইতালির সেই নাগরিকের বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান রেখে তার পরিবারকে না জানিয়ে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লোম্বারদিয়া (মিলান) নামের ইতালির নাগরিক ইতালির বুস্তো গারল্ফো এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও ১০ বছরের একটি ছেলেসন্তান। আলিসান্দ্র্রো পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাংলাদেশি তার এক সহকর্মীর সঙ্গে বাংলাদেশে আসে।
পরিবারের লোকজনকে বলেছে কাজের জন্য তাকে কিছুদিন অন্য এক শহরে গিয়ে থাকতে হবে। কিছুদিন পরে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, তিনি বাংলাদেশে গিয়ে ওই সহকর্মীর ভাতিজিকে বিয়ে করেছেন।
পরে সেই নাগরিক ইতালিতে ফিরে গেলে তার পরিবার বাংলাদেশের মেয়েকে বিয়ের কথা জানতে চাইলে প্রথমে সে এ বিয়ে অস্বীকার করলেও পরে জানায় মেয়ের পরিবার মেয়েটিকে বিয়ে করে ইতালিতে আনার বিনিময়ে তাকে মোটা অংকের টাকা দিবে। এ ঘটনায় তার আগের স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
সেই নাগরিকের আগের স্ত্রীর ভাই সোস্যাল মিডিয়ায় ভগ্নিপতির একটি ভিডিও (বাংলা ভাষা) বুঝতে না পেরে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশীর কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে পারেন। এবিষয়ে জানতে ইতালি নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তবে ইতালিতে তার স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে সেটা নিশ্চিত করেছেন তার পরিচিত অনেকে।