বরগুনার আমতলীতে টিকটক করা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে জুবেয়ারা জান্নাতি (১৭) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। পরে তার স্বামী ইমন সরদারও (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও প্রাণে বেঁচে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম আরিফ।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে আমতলী পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুবেয়ারা জান্নাতির বাবার নাম সুমন রশিদী। অপরদিকে ইমন সরদারের বাবার নাম আল-আমিন সরদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের বাসিন্দা ইমন সরদার প্রেম করে জুবেয়ারা জান্নাতিকে বিয়ে করেন। পরে জান্নাতির টিকটক করা নিয়ে প্রায় সময়ই ইমনের সঙ্গে কলহ হতো। এর মধ্যে শুক্রবার টিকটিক করার জন্য স্ত্রীর মাথার চুলের শোভাবর্ধন করা নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হলে স্বামী ইমন তার স্ত্রী জান্নাতির মাথার চুল কেটে দিয়ে বাজার করতে চলে যান। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ অবস্থায় জান্নাতিকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ইমন। কিন্তু চিকিৎসক জান্নাতিকে মৃত ঘোষণা করেন। এই অবস্থায় স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে বাড়িতে ফিরে স্বামী নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে এলাকাবাসী টের পেয়ে ইমনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে পরবর্তীতে তাকে বরিশালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বামী ইমন সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর চুল কেটেছি এবং পর্দায় থাকতে বলেছি। তাকে আর কিছুই করিনি। ঘরে বাজার না থাকায় তাকে বলে আমি ঘর থেকে বাজার করতে বের হই। পরে বাড়িতে এসে দেখি সে আত্মহত্যা করেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
তবে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।