ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার সন্ধান মিলেছে। নিখোঁজের প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নারায়ণগঞ্জের হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে গিয়ে সাহায্য চান। এ সময় তিনি অপহরণ ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রীতি খন্দকার হালিমা বিজয়নগরে ফিরে আসেননি।বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বামীসহ তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে বিজয়নগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। বিজয়নগর থানা পুলিশও রয়েছে তাদের সঙ্গে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রীতি খন্দকারের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি তারা সকালে শুনতে পান।
পরে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রীতি খন্দকারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রীতি খন্দকার জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিজয়নগরের হরষপুর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় দুই নারী এসে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে একটি পান খেতে দেওয়া হয়।পান খাওয়ার পর থেকেই তিনি কিছু মনে নেই।’
তার দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে একটি কালো গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তিনি জানতে পারেন এটি নারায়ণগঞ্জ। পরে তিনি পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশের মাধ্যমে তিনি স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন।
উদ্ধারের আগে মাসুদ খন্দকার অভিযোগ করেছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সার্ভার ত্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচার চালানোর সময় তিনি একটি বাড়ি ভেতরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। মিনিট বিশেক পার হলেও বের হচ্ছে না বিধায় সঙ্গে থাকা দুজন নারী ভেতরে যান। সেখানে গিয়ে তাকে আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসিকে অবগত করা হয়। পরে তিনি এ বিষয়ে থনায় জিডি করেন। স্ত্রীকে গুম করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি মৌখিকভাকে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে জানান, ওই নারী নিজেই এসে পুলিশের সহায়তা চায়। নিজেকে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বলে পরিচয় দেন। এরপর বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়।