নোবেলকে ডিভোর্স দেওয়ার খবরটি গত ৪ মে ফেসবুকে প্রকাশ্যে আনেন সালসাবিল মাহমুদ। সেখানে তিনি ডিভোর্সের কারণ হিসেবে নোবেলের মাদক সেবনকে দায়ী করেন। সঙ্গে তিনি নোবেলের মাদক সংশ্লিষ্টতার সঙ্গে যুক্তদের পরিচয়েরও ইঙ্গিত দেন। এরপরেই গুম ও প্রাণণাশের হুমকি পান বলে অভিযোগ সালসাবিলের।
৫ মে ফেসবুকে নিজের ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে সালসাবিল এ অভিযোগ করেন। সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমি নাকি কতো বড় ভুল করে ফেলেছি আমি নিজেও জানি না। আমাকে গুম করা তাদের ২ মিনিটেরও বিষয় না। কোনো আইন তাদের কিছু করতে পারবে না। আইন তারা পকেটে রাখে।’
তিনি আরও লিখেছেন ‘তোমাদের পারসনাল বিষয় পর্যন্ত ঠিক ছিলো এর বেশি তুমি কেন কথা বলতে গেলা? বাংলাদেশ ড্রাগ ছাড়া অচল। সব পাবলিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা ড্রাগস নেয় কই তাদের ফ্যামিলি তো পাবলিকলি কিছু বলছে না? তুমি কেন এসব নিয়ে কথা বলতে গেসো? যদি আমাদের কারও নাম সামনে আসে **তোমাকে রাস্তায় শুট করা হবে নাহলে ২ মিনিটে গুম করে দেওয়া হবে**।’
এর আগে নোবেলকে তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন জানিয়ে পেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল’’, এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি। ধন্যবাদ।’
নোবেলের মাদকাসক্তের পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘নোবেল কখনই এতো অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী। কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী, (দরকার হলে নাম বলব) যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি।’
গত ২৭ এপ্রিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের সুর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে গান গাইতে মঞ্চে উঠে মাতলামির করেন নোবেল। বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে এক অডিও সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, সেদিন মঞ্চে উঠার আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সরবারহ করা কয়েক পেগ সিগনেচার ব্রান্ডের মদ পান করেন।
গত ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর ভালোবেসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নোবেল ও সালসাবিল। এরপর ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নোবেলকে ডিভোর্স লেটার পাঠান সালসাবিল। মাঝখানে দুজনের মধ্যে মীমাংসা হলে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সাময়িক স্থগিত (হোল্ড) রাখেন। চলতি বছরের ৪ মে এরপর সেটা চূড়ান্তভাবে কার্যকর করেন।