চিকিৎসায় সন্তান হয়েছে দাবি করে মানত পূরণে ছাগল-মিষ্টি নিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে কবিরাজের বাড়িতে আনন্দ উদযাপন করেছেন ফরিদপুরের রানু আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূ।
রোববার (২ জুন) দুপুরে ছেলে ইসমাইলকে সঙ্গে করে ছাগল-মিষ্টি নিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে কবিরাজের বাড়িতে যান তিনি। কবিরাজের হাতে মুখে ভাত দেয়ান ছেলেকে।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মাতবরপাড়ার কবিরাজ নাজমা বেগমের বাড়িতে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়। রানু আক্তার ফরিদপুর সদরের গোয়ালের টিলা নিমাই সেকের পাড়ার নুরুজ্জামান সেকের স্ত্রী।
রানু আক্তার জানান, ১৫ বছর আগে তার গর্ভে এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে তার আর কোনো সন্তান হচ্ছিল না। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। ঢাকায় বড় বড় ডাক্তার দেখিয়েও তিনি সন্তান জন্ম দিতে পারছিলেন না। বরং ডাক্তাররা বলেছিলেন, তিনি সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।
এরপর তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার রমজান মাতবরপাড়ার কবিরাজ নাজমা বেগমের শরণাপন্ন হন। মানত করেন সন্তান হলে ছাগল-মিষ্টি নিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে কবিরাজের বাড়িতে আনন্দ উদযাপন করবেন। নাজমার চিকিৎসায় সাত মাস আগে জন্ম দেন এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান। তাই মানত পূরণে রোববার দুপুরে ছেলে ইসমাইলকে সঙ্গে করে ছাগল-মিষ্টি নিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে কবিরাজের বাড়িতে যান তিনি। কবিরাজের হাতে মুখে ভাত দেয়ান ছেলেকে।