দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত ঢাকার কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থী আনুশকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চারদিকে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
সহপাঠীকে হারিয়ে শোকে কাতর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এ ধর্ষণ ও মর্মান্তিক হত্যা নাড়া দিয়েছে সমাজের বিবেককে। যে যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আর এমন প্রতিবাদই কাম্য বলে মনে করছেন সকলেই। অনেকের ধারণা উপযুক্ত বিচার হলে সমাজ থেকে অনেকটাই কমে যাবে ধর্ষণ ।
ঠিক তেমনিভাবে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা।
আবিদা সুলতানার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
রাতে একজন মায়ের অনুভূতি কেমন হয়, যদি আদরের সন্তানকে অন্যের লালসার বলি হতে দেখতে হয়!! মানুষের ভিতরে কেন এমন পশুর প্রবৃত্তি? কেন এত যৌন কাম? এর শেষ কোথায়?
পঞ্চান্ন/ষাট বছরের প্রবীণ, হাড্ডী কঙ্কালসার পনের ষোল বছরের প্রতিবন্ধীকে তখন ধর্ষণ করে তখন তাকে কী বলা যায়? ??
আবার এমন আচরণের জন অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। বক্তব্য.. আমার ভাতিজিকে আমি তো একটু আদর করতেই পারি!!!!
আহ্ !!! কী আজব!!
মায়ের চোখের অঝোর শ্রাবণ আমাকে আহত করে!! কী করব?? কয়জন মাকে স্বস্তি দিতে পারি আমরা?
কী ছেলে, কী মেয়ে .. কখন কীভাবে কার লালসার শিকার হবে বোঝা কি সম্ভব?
রক্তাক্ত ছোট্ট ছেলেটিকে দেখে কী মা প্রথমে বুঝতে পেরেছিলেন যে তারই সহপাঠী বড় ক্লাসের ছেলেটির শিকার হতে হবে তার সন্তানকে এমন করে??
এমন অসুস্থতা কেন মানুষের মধ্যে?? এই অসভ্যতার শেষ কী করে হবে?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন।
এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।