মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় লাভলী বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকেরহাট বন্দর আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাভলী বেগম গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া গ্রামের মৃত হাসু মোল্লার মেয়ে। প্রায় সাতবছর আগে তার সঙ্গে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট আবাসিক এলাকার মজিবর সরদারের ছেলে সৌদি প্রবাসী আজাদ সরদারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল গৃহবধূ লাভলীর। এরই জের ধরে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে গৃহবধূ লাভলী বেগমের সঙ্গে সৌদি প্রবাসী স্বামী আজাদের মোবাইলে কথাকাটাটি হয়। এর এক পর্যায়ে লাভলী ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে গৃহবধূ লাভলী বেগমকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
গৃহবধূ লাভলী বেগমের ভাই রাসেল বলেন, ‘আমার বোনকে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে গৃহবধূর শ্বশুর মজিবর সরদার বলেন, ‘সৌদি প্রবাসী আমার ছেলে আজাদের সঙ্গে মোবাইলে কথাকাটাকাটির পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার চেষ্টার খবর পেয়ে আমি লাভলীকে উদ্ধার করি। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদী বলেন, ‘এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’