বিয়ের মাত্র এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে এক কিশোরী গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নববধূর মৃত্যুর পর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ১২ মে ওই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে রেহান মিয়া (১৮) পার্শ্ববর্তী সাঘাটা উপজেলার সাথালিয়া গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ১৫ বছরের মেয়ে শারমিন প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে। আজ বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘরের মধ্যে শারমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদি হাসান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে কিশোরীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গ্রামের প্রতিবেশী ঠান্ডু আকন্দের ছেলে জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে নিহত নববধূর স্বজনরা বুধবার বিকেলে অভিযোগ করেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে শারমিনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।