দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বাঙালি নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর শততম প্রয়াণ বার্ষিকী ৩ অক্টোবর। ১৯২৩ সালের এই দিনে ৬২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এই মহিয়সী নারী। এ উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম, ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে দশ টাকা মূল্যমানে স্মারক ডাকটিকিট ও দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং পাচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন ও একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করেন। প্রথম বাঙালি নারী চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর শততম প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে জনাব মোস্তাফা জব্বার ডা. কাদম্বিনীকে নারী জাগরণের অন্যতম অগ্রদূত আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সকল বাধা অতিক্রম করে প্রথম নারী চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা কাদম্বিনী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণার একটি নাম। আপন সাধনায় উনিশ শতকের শেষভাগে পাশ্চাত্য চিকিৎসাযয় ডিগ্রি অর্জন করে তিনি হয়ে ওঠেন ভারতের প্রথমদিককার একজন বাঙালি নারী চিকিৎসক, তিনি বাঙালি নারীদের অহংকার।
ব্রাহ্ম সংস্কারক ব্রজকিশোর বসুর কন্যা কাদম্বিনীর জন্ম হয় ১৮ই জুলাই ১৮৬১ তে বিহারের ভাগলপুরে। তার মূল বাড়ি ছিলো বাংলাদেশের বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চাঁদশীতে।