শিশু মাহদী হাসান। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে। তিন বছর আগে তার জন্ম। কিন্তু জন্ম থেকেই সে হৃদরোগে আক্রান্ত। তাই ছেলের চিকিৎসা চালাতে সরকারি সাহায্যের জন্য সমাজসেবা অফিসে যান ফরিদ। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার ছেলের বয়স ১০৩ বছর।
ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও বিষয়টির সমাধান পাননি ফরিদ মিয়া। ছেলের জন্য সাহায্য না পেয়ে এখন জন্মসনদ সংশোধনের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাহদী হাসানের জন্ম ২০১৮ সালের ৫ মার্চ। জন্মের বছরখানেক পরে তার বাবা ফরিদ মিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ সংগ্রহ করেন। এ সময় মাহদী হাসানের জন্মতারিখ দেয়া হয় ৫ মার্চ ১৯১৮ সাল। কিন্তু ফরিদ মিয়ার অক্ষর জ্ঞান না থাকায় তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আমি পেশায় একজন দিনমজুর। অন্যের কাজ করে সংসার চালাই। জন্ম থেকেই আমার ছেলে মাহদী হাসান হৃদরোগে আক্রান্ত। ছেলের চিকিৎসা করাতে সাহায্যের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে ছাতক সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে গেলে জানতে পারি জন্মসনদে ছেলের বয়স ১০৩ বছর। পরে আমি কালারুকা ইউনিয়নে গেলে আমাকে কোনো ধরনের সহযোগিতাও করা হয়নি। এখন ছেলের চিকিৎসাও করাতে পারছি না।’
এ বিষয়ে কালারুকা ইউনিয়নের সচিব পিংকু দাস বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করেছি বেশি দিন হয়নি। এ ধরনের কাজ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা করেন।’
কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অদুদ আলম বলেন, জন্মসনদের কাজ ইউনিয়ন সচিব করেন। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।