পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ছয় দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন সীমা আক্তার (২০) নামে এক নারী। তিনি এক সন্তানের জননী। সোমবার ২ মে থেকে বিয়ের দাবিতে সুবিদখালী বাজারের আলী বাংলা চাইনিজসংলগ্ন মো. রায়হানের বাড়িতে অনশনে বসেছেন তিনি।
মো. রায়হান সুবিদখালী বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা। উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মতি মৃধার ছেলে। সীমা উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মানসুরাবাদ গ্রামের জব্বার জোমাদ্দারের মেয়ে।
সীমা আক্তার জানান, সাড়ে চার বছর আগে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের মধু চাপরাসীর ছেলে শহীদুল্লাহর সঙ্গে বিয়ে হয় এবং তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দাম্পত্যে কলহের কারণে আত্মহত্যা করার জন্য রায়হানের কীটনাশকের দোকান থেকে বিষ কিনতে যান। এ সময় রায়হান তাকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে এটি প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি হয়। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। রায়হান কৌশলে তার আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন।
তবে বিয়ের কথা জানালে রায়হান বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তাই সীমা বিয়ের দাবিতে রায়হানের বাড়িতে ছয় দিন ধরে অনশন করছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয় মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি আইনের আওতায় আনা হবে।