ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার একটি দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী (২২) আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে চিরকুটে ওই ছাত্রী তার মৃত্যুর জন্য নিজের বাবাকে দায়ী করেছেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণখান থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসাম্মৎ রেজিয়া খাতুন। তিনি জানান, ওই শিক্ষার্থীর রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার বাবা। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়, কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী এবং রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা। ‘
জানা গেছে, বাসার ছাদ থেকে ওই ছাত্রী নিচে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তার পরিবারের লোকজন মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। পুলিশ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু সংবাদ পায়।
স্থানীয়রা জানান, ১০ তলা ভবনের সাত তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন ওই ছাত্রী। তার রুমের বিছানার একটি বালিশের নীচ থেকে তার পরিবারের সদস্যরা নিহতের হাতের লেখার (প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত) একটি চিঠি বের করে দেয়। সেই চিঠিতেই আত্মহত্যার জন্য বাবাকে দায়ী করেছেন ওই ছাত্রী। ঘটনার পরপরই তার বাবা পালিয়ে যাযন। এ নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রাত পৌনে ১২টার দিকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।