কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাট থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যা করা হয়েছিল সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে গতকাল সন্ধ্যায় বেশকিছু মাংসের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে সেগুলো আনোয়ারুল আজিমের মরদেহের খণ্ডিত অংশ কি না, তা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, সংসদ সদস্য আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ও তার পারিবারে লোকজন কলকাতায় গেলে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডরিন আরও বলেন, ‘আমি বাবার আপডেট জানতে ডিবির হারুনের আঙ্কেলকে (মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ) ফোন দিয়ে ছিলাম। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আপনি কলকাতায় আসেন তারপর বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ছাড়া আপনার সঙ্গে পরিবারের কাউকে নিয়ে আসেন।” আমাকে পুরো বিষয়টি এখনো পরিষ্কার করে কিছু বলেননি হারুন আঙ্কেল।’
এদিকে, ভিসা জটিলতায় কলকাতায় যাওয়া আটকে আছে এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের। আজ বুধবার এমপির বাসভবনের সামনে সংবাদমাধ্যমে সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ডরিন বলেন, ‘আজ আমাকে ভিসা দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছিল তারা আজ আমাকে টেক্সট পাঠাবে। তারা কনফার্ম করলে আমি পাসপোর্ট নিয়ে আসব।
তবে এখনো তাদের থেকে কোনো টেক্সট পাইনি। আশা করছি আজকের মধ্যেই হয়তো পেয়ে যাব। যদি আজ পাসপোর্ট হাতে পাই তাহলে সময় থাকলে আজই আমি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হব।’
কলকাতায় আর কে যাবেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার বাবার ব্যক্তিগত সহকারী রউফ ভাই (আব্দুর রউফ) যাবেন। তারও পাসপোর্ট জমা দেওয়া আছে। একসঙ্গে যেনো দুইজনের ভিসা আসে সেভাবেই কথা বলা হয়েছিল।
আজ আমরা পাসপোর্ট পেলেই কলকাতায় রওনা দেব। এ ছাড়া আমার চাচাও যাবে। আমার চাচার অলরেডি ভিসা করা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধারের খবর মিডিয়ায় দেখেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই খণ্ডাংশ বাবার কিনা সেটি নিশ্চিত করেনি পুলিশ। আমার ভারতীয় ভিসা আজ হতে পারে। ডিএনএ স্যাম্পল দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশ ডাকলে অবশ্যই যাবো। ডিএনএ টেস্টের জন্য আমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলা হয়নি।’
ডরিন আরও জানান, তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তিনি সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। বাবার হত্যার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা গভীর তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।