শীতকালে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের পর দিনাজপুরে আবারো শীত জেঁকে বসেছে। মাঘের শুরুতেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে দিনাজপুর। আজ বুধবার দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের সকালে ভোর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীরগতিতে। শীত এবং কুয়াশার কারণে নতুন বছরের ১৯ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্কুলগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। বেকায়দায় পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। পাড়া মহল্লায় এবং রাস্তার ধারে খড়কুটো-ময়লা-আবর্জনা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বসে রয়েছেন শীতে কাবু মানুষগুলো।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কিলোমিটার। তবে বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হচ্ছে। শীত মৌসুমে গত ১২ জানুয়ারি দিনাজপুরে সর্বোচ্চ ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রকের্ড করা হয়।
দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শীতের প্রকোপ আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। তবে, অতিরিক্ত কুয়াশা ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল থেকে আসা হিমালয়ের শীতল বায়ু প্রবাহের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।