বর্তমানে দেশের ১৭টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ আরো চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী রবিবার পর্যন্ত গরমের কষ্ট সহ্য করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, বর্তমানে ঢাকা, টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী এবং রাজশাহী বিভাগের আট জেলা ও সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ মোট ১৭ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানায়, আজ রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া ওড়িশা উপকূল ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিল রাঙামাটি ও সীতাকুণ্ডে, ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪৩ মিলিমিটার।
মৌলভীবাজারে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মৌলভীবাজারের মানুষ। ভাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। একই সঙ্গে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। এতে ভোগছে মূলত বৃদ্ধ ও শিশুরা। মৌলভীবাজার জেলায় এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ জানান, বর্তমানে গরমের তীব্রতা অনেক বেশি। এ সময় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হিটস্ট্রোকের রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করাতে হবে। এ ছাড়া ডিহাইড্রেশন (মাত্রাতিরিক্ত ঘামে পানিশূন্যতা), পেটের পীড়া, বিশেষ করে ডায়রিয়া ও ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ধরনের রোগ-ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে তীব্র রোদে চলাফেরা এড়াতে হবে।