মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আকাশে সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। লঘুচাপের প্রভাবে ইতিমধ্যে বৃষ্টি কিছুটা বেড়েছে। গতকাল ভোর থেকে ঢাকায় থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হয়। লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হলে এই বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে এবং সারা দেশেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে। নদী বন্দরের দিকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে নদী বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, লঘুচাপটি এখন বঙ্গোপসাগরের জলভাগ ও ভারতের স্থলভাগ মিলিয়ে অবস্থান করছে। আমাদের এখানে এর খুব একটা প্রভাব পড়বে না। আমরা বৃষ্টি পাব, এর প্রভাবে আমাদের এখানে বৃষ্টি হবে। এখনো সমুদ্রবন্দরগুলোতে কোনো সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যদি আরও মেঘ আসে। আর বাতাসের গতিবেগও আরও বাড়ে, তখন সতর্ক সংকেত দেওয়া হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপের তেমন শঙ্কা নেই। তবে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি এখন ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এদিকে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে। এসবের প্রভাবে সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।