রাজধানীসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। প্রচণ্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ইতোমধ্যে এ ধরনের রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গেছে অনেক হাসপাতালে।
দেশে গতকাল (২৪ জানুয়ারি) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এই তাপমাত্রায় দেশজুড়ে শীতের অনুভূতি রয়েছে, রয়েছে ঘন কুয়াশাও। দু-একটি অঞ্চল বাদে সারা দেশে একই ধরনের শীত বিরাজ করছে। সারাদেশে আজ দিনরাতে শীতের এই পরিস্থিতি খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবারসহ (২৫ জানুয়ারি) চার দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ফলে এই একই ধরনের শীত থাকছে চার দিন। যদিও পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে এবং কাজের প্রয়োজনে এই মাত্রার শীতেও অনেক দরিদ্র মানুষকে চরম ভোগান্তিতে দিন পার করতে হবে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকবে। তারপর ২৭ জানুয়ারি থেকে আবার তাপমাত্রা কমতে পারে। তখন আবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।