ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ শক্তিশালী ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হতে পারে। এ কারণে বঙ্গোপসাগরে সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে রবিবারের (২৩ মে) মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায় বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপকে নিয়ে এখন থেকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, ২৬ মে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় প্রতি ঘণ্টায় হাওয়ার গতিবেগ ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকবে। আপাতত পূর্বাভাস এমনটাই। ফলে এই ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের থেকেও বিধ্বংসী হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই ঘূর্ণিঝড় প্রথমেই ধাক্কা মারবে বাংলার এবং ওড়িশার উপকূলে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৬৫ টি জাতীয় বিপর্যয় মোবাবিলা বাহিনীর দল মোতায়েন করা হয়েছে। ২০ দলকে বাড়তি কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, শনিবারের মধ্যে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসতে পারে। তবে এটি কেমন শক্তি নিয়ে আঘাত করবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।