বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করে কক্সবাজার সৈকতে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। সমুদ্রের উত্তাল পানি আর ঝাপটা বাতাসের দোলায় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে অনেক পর্যটকই ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে।
সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকরা আনন্দ উল্লাস আর হইচই করে সময় পার করছেন। অনেকেই সাগর স্নানে ব্যস্ত। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বীচ কর্মীরা। সাগরে না নামতে বারবার সতর্ক করছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।
চাঁদপুর থেকে এসেছেন তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার (১২ মে) সকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে সমুদ্রস্নানে নামেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কেনই-বা সমুদ্রস্নান? এমন প্রশ্নের জবাবে তরিকুল ইসলাম বলেন, মূলত ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে কক্সবাজার এসেছি। এটি কখন আসবে সেই অপেক্ষায় আছি। ১৫ মে পর্যন্ত কক্সবাজার থাকব, আশা করি ঘূর্ণিঝড় মোখা দেখতে পাব।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর অনেকটা উত্তাল হয়ে উঠেছে। সৈকতে লাল-হলুদ পতাকা নামিয়ে বিপদ সংকেত ‘লাল’ পতাকা টানানো হয়েছে।
সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। আর পর্যটকদের হাঁটুপানির নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। ৩টি পয়েন্টে এখনও আনুমানিক ১০ হাজারের বেশি পর্যটক রয়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। যদি সংকেত বাড়ে তাহলে পর্যটকদের সৈকত থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হবে।