চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এলাকাজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) থেকে শনিবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাত পর্যন্ত। এ সময় দেশের প্রায় অর্ধেক বা ১৯টি অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। আজও সারা দেশে কালবৈশাখী হতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৪৮ ঘণ্টা আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভোর ৬টার আগের ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ও সিলেটে ৩৫ মিলিমিটার করে। ঢাকাতে ২৪ মিলিমিটার, মাদারীপুরে ৩ মিলিমিটার, গোপালগঞ্জে সামান্য, ময়মনসিংহে ১৪, নেত্রকোনায় ২৯, কুমিল্লায় ১, চাঁদপুরে ৩, মাইজদিকোর্টে ৬, ফেনীতে ১২, শ্রীমঙ্গলে ২২, রংপুরে ৩০, দিনাজপুরে ১৫, সৈয়দপুরে ২৮, তেঁতুলিয়ায় ১৪, ডিমলায় ২৮, রাজারহাটে ১৮ ও ভোলায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। আর অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ঘণ্টায়।
এতে আরো বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঝড়বৃষ্টিময় এমন আবহাওয়ার প্রভাবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
এ ছাড়া ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।