২৭ ডিসেম্বর সফলতার ১৬ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় বৈশাখী টেলিভিশনের। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখীর পর্দা সাজানো হয়েছে গান,নাটক,সিনেমাসহ নানা অনুষ্ঠান দিয়ে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ‘১৬ বছরে বৈশাখী’ শিরোনামে সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান। চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে থাকছে দেশের স্বনামখ্যাত রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা বক্তব্য।
সরাসরি বৈশাখীর সংগীতানুষ্ঠান ‘১৬ বছরে বৈশাখী’ প্রচার হবে ৪টি সেগমেন্টে। প্রথম সেগমেন্ট শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। সংগীত পরিবেশন করবেন ইউসুফ আহমেদ খান ও চম্পা বনিক, শবনম প্রিয়াংকা ও তরিক মৃধা, নদী ও তিন্নি।
১১.০৫ মিনিটে শুরু হওয়া সেগমেন্টে গান গাইবেন ফকির শাহাবুদ্দিন ও শিল্পী বিশ্বাস, গামছা পলাশ ও সাদিয়া লিজা, বিন্দু কনা ও অংকন ইয়াসমিন।
তৃতীয় সেগমেন্ট শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এ পর্বে অংশ নেবেন সায়রা রেজা ও রাফাত।
রাত সাড়ে ১০টায় শুরু হবে চতুর্থ সেগমেন্ট। সংগীত পরিবেশন করবেন সালমা ও তার দল। ১৬ বছরে বৈশাখী সঙ্গীতানুষ্ঠানের উপস্থাপনায় থাকবেন সানজিদা তন্বী, আফরিন অথৈ ও তাসনুভা মোহনা।
রাতে প্রচার হবে দু’টি একক নাটক। রাত ৮টায় প্রচার হবে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে আল হাজেনের পরিচালনায় বিশেষ নাটক ‘মানবতা’। এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, মম, অলিউল হক রুমি, আইনুন পুতুল, নীলা আহমেদ প্রমুখ।
রাত ৯ টায় প্রচার হবে ‘নজরবন্দী’। আহমেদ তাওকীরের রচনায় ও সরদার রোকনের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সজল, কেয়া পায়েল, শিল্পী সরকার অপু, জিদান, মিতু প্রমুখ।
দুটি বাংলা সিনেমার মধ্যে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে ‘নয়ন ভরা জল’। মহম্মদ হাননানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শাবনূর, শাহনূও, রাজীব সুচরিতা প্রমুখ।
রাত ১২টায় প্রচার হবে ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’। আমিন খান ও পূর্ণিমা, ডিপজল, রেসী, জায়েদ খান, কাজী হায়াৎ অভিনীত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন এফ আই মানিক।
১৬ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, আমাদের জন্য এদিনটি বড়ই আনন্দের। ১৬টি বছর একটি চ্যানেলের জন্য কম কথা নয়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যারা বৈশাখী টেলিভিশনের সঙ্গে ছিলেন এখনও যারা আছেন তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বৈশাখী টেলিভিশন যাত্রা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের কথা চিন্তা করে নানাবিধ অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। কারণ দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভবিষ্যতেও বৈশাখী টেলিভিশন সবশ্রেনীর দর্শকের কথা মাথায় রেখে আরো নতুন নতুন অনুষ্ঠান এবং বরাবরের মতো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে। করোনা মহামারির কারণে প্রতিবারের মতো বৈশাখী টিভি কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন না থাকলেও পর্দায় এ আয়োজনের কোনো কমতি নেই। ১৬ বছরে বৈশাখীর এ পর্দা আয়োজন দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
সবশেষে বৈশাখী টেলিভিশনের সম্মানীত দর্শক, বিজ্ঞাপণদাতা, কেবল অপারেটরসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন