বিয়ে নিয়ে রাশেদ সীমান্তর প্রতারণা। এ প্রতারণাটা চেখে পড়ার মতো। একটা নয় দুটি নয় প্রতারণা করে একে একে ১৬টি বিয়ে করেন তিনি। এক সময় সব জারি জুরি ফাস হয়ে পড়ে, ঘটে ভীষণ বিপত্তি। একজনের কাছে ফেসে যান তিনি। জীবন হয়ে ওঠে বিষময়। ঘটনাটি আসলে বাস্তবের নয়, নাটকের। মনপুরা’ চলচ্চিত্রের আলোড়ন তোলা নায়িকা ফারহানা মিলির সঙ্গে প্রথম বারের মতো অভিনয় করলেন রাশেদ সীমান্ত। নাটকের নাম ‘বিয়ে বাণিজ্য’।
প্রচার হবে বৈশাখী টেলিভিশনে ৫ জানুয়ারি রাত ১০.০০টায়। টিপু আলম মিলনের গল্পে সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন এবি রোকন। আরো অভিনয় করেছেন অলিউল হক রুমি, শফিক খান দিলুসহ অনেকে। রাশেদ সীমান্ত হাতেগোনা যে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তার প্রায় প্রতিটি নাটকই কোটি কোটি ভিউ ছাড়িয়ে গেছে। ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখী টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রচারিত রাশেদ সীমান্তর ‘বাসর ঘরে চোর’ নাটকটি ইতোমধ্যেই ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে। যার ভিউ এখনই ২ মিলিয়ন। নাটক পাগল দর্শকদের কাছে তিনি আজ তুমুল জনপ্রিয়। বর্তমানে টিভি মিডিয়ায় প্রথম সারির যে ক’জন অভিনেতা আছেন রাশেদ সীমান্ত তাদের মাঝে একজন।
নাটকটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী রাশেদ সীমান্ত। বিশেষ করে ফারহানা মিলির হৃদয় ছোঁয়া অভিনয় মানুষ মনে রাখবে দীর্ঘদিন।
গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, নাটকের নায়ক জগলুল হায়দার তথ্য গোপন করে একরে পর এক বিয়ে করেন এবং কিছুদিন পর পর তার অবস্থান পরিবর্তন করেন। জগলুল হায়দার কোন সাধারণ মানুষকে বিয়ে করেন না। তিনি দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত অসহায় গরীব মেয়েদের বিয়ে করেন এবং তাদের ভালোমন্দ খাওয়া-দাওয়া দেখা শুনা সর্বোপরি সকল দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন। এভাবে একের পর এক বাড়তে থাকে জগলুল হায়দারের বিয়ের সংখ্যা।
এতে তাকে সাহায্য করেন তার সহকারী সিদ্দিক। যে জগলুল হায়দারকে নতুন নতুন বিয়ের জন্য পাত্রীর খোঁজ এনে দেয় তাকে সম্মানী দেয় জগলুল হায়দার। ১৬তম বিয়েতে জগলুল হায়দারের ঘরে স্ত্রী হয়ে আসে লাবণী। লাবণীও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত কিন্তু অন্য দশটা সাধারণ মেয়ের মত লাবণী চায় তার স্বামীর সেবা করতে যা জগলুলের অতীতের কোন স্ত্রী করেনি।
অবাক হয় জগলুল। ধীরে ধীরে লাবণীর প্রতি একধরনের ভালো লাগা কাজ করতে থাকে জগলুলের। কিন্তু জগলুল তো আরো অনেক বিয়ে করেছে! তাহলে তাদের কি তার ভালো লাগেনি? সে উত্তর খুঁজতে অপেক্ষা করতে হবে নাটকটি দেখার জন্য।