পায়ে শিকল বেঁধে অভিনেত্রী কেয়া পায়েলকে চোখের সামনে বসিয়ে রাখছেন তার মা। খবরটি চমকে ওঠার মতো। ঘটনাটি আসলে বাস্তবে নয় নাটকে। নাটকের নাম ‘নজরবন্দী’। আহমেদ তাওকীর রচনায় সরদার রোকনের পরিচালনায় বাড়ির উঠানে এভাবেই পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় দেখা যাবে কেয়া পায়েলকে। শিকল থেকে মুক্তির জন্য কি যে আশফাস তার, তা দেখে অনেকের হৃদয় ব্যথাতুর হয়ে ওঠে। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘নজরবন্দী’। কেয়া পায়েল ছাড়াও এ নাটকে অভিনয় করেছেন সজল, শিল্পী সরকার অপু, জিদান, মিতু প্রমুখ। আগামী ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখী টেলিভিশনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাত ৯ টায় প্রচার হবে নাটকটি।
নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে প্রতিবন্ধী এক অপরুপ সুন্দরী মেয়ের জীবনকে ঘিরে। নাটকে কেয়া পায়েলের নাম পাখি। পাখি বাউন্ডুলে এবং অনেকটাই বোকা স্বভাবের। পাখি হুটহাট করে বাইরে চলে গেলে মা মিনতি বেগমের ভয় হয়। তাইতো তার পা শিকলে বেঁধে আটকে রাখে। চারপাশে যেভাবে ধর্ষন আর যৌন নির্যাতনের খবর শোনা যায় তাতে মিনতি বেগমের আতঙ্ক আরও বাড়ে। সে জন্যই পাখি মায়ের হাতে শিকলে বন্দী দিনের পর দিন। তবে পাখি জানালার পাশে বসে কল্পনায় পাখির মতোই উড়ে বেড়ায়। সেখানে পাখির আশ্চর্য এক সুন্দর জীবন। বাজারের পাশে মিনতি বেগমের ছোট্ট এক চায়ের দোকান। সেই দোকানের আয়েই সংসার চলে মা- মেয়ের। মিনতি বেগম শিকল পরা অবস্থাতেই পাখিকে নিয়ে দোকানের সামনে চোখের নজরেই বসিয়ে রাখে। কাজের ফাঁকে মা কখনওবা পাখির বিয়ে নিয়ে ভাবে। মিনতি বেগমের দোকানে আসা এক যুবক নিয়ামুল প্রতিদিনই হতবাক হয়ে পাখির দিকে তাকিয়ে থাকে।
শহরে পড়াশোনা করা নিয়ামুল পাশের গ্রামের এক প্রভাবশালীর ছেলে। পাখিকে দোকানে না দেখলে সে চলে যায় তাদের বাড়িতে। পাখিদের বাড়ির জানালা ধারে অপলক তাকিয়ে থাকে নিয়ামুল। তবে নিয়ামুলের এই বাড়িতে আসা ভালো চোখে দেখে না বখাটে যুবক নাসির। নাসিরের চোখে ভালোবাসার বদলে লালসা। নাসিরকে পাত্তা দেয় না নিয়ামুল।
একদিন মিনতি বেগম পাখিকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ভয় পেয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষিত হওয়া সব মেয়ের কথা মনে পড়ে। তার মেয়ের নামও কি নুশরাত, তনু, পাহাড়ি সেই কিশোরী অথবা এমসি কলেজের সেই মেয়েটির সাথে যক্ত হবে? মেয়েকে কোথাও খুঁজে পায়না মিনতি বেগম। অবশেষে গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে নিয়ামুলের হাত ধরে পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে দেখে মেয়েকে। এমন দৃশ্য দেখে বুকের ভিতর চিন চিন ব্যথা করে তার। নিজের চলার শক্তি যেন হারিয়ে ফেলে। শুরু হয় নাটকীয়তা। এভাবেই সমাপ্তির পথে এগিয়ে চলে ‘নজরবন্দী’ নাটকের কাহিনী।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন