২৭ ডিসেম্বর সফলতার ১৮ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় বৈশাখী টেলিভিশনের। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখীর পর্দা সাজানো হয়েছে গান,নাটকসহ নানা অনুষ্ঠান দিয়ে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে শুরু হবে ‘১৮ বছরে বৈশাখী’ শিরোনামে সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে থাকছে দেশের স্বনামখ্যাত রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা বক্তব্য।
প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় সরাসরি বৈশাখীর সংগীতানুষ্ঠান ‘১৮ বছরে বৈশাখী’ প্রচার হবে ৯টি সেগমেন্টে। প্রথম সেগমেন্ট শুরু হবে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে। তাসনুভা মোহনার উপস্থাপনায় দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করবেন শবনম প্রিয়াংকা ও তিমির নন্দী। সকাল ৯.১৫ মিনিটে শুরু হওয়া দ্বিতীয় সেগমেন্টে রবীন্দ্র- নজরুল সংগীত গাইবেন দেবলিনা সুর ও ইউসুফ আহমেদ খান। সকাল ১০.২৫ মিনিটে আধুনিক গান গাইবেন রাজীব ও প্রিয়াংকা বিশ্বাস, বেলা ১১ টায় গাইবেন খুরশিদ আলম ও নদী।
সানজিদা তন্বীর উপস্থাপনায় দুপুর ১২.০০টায় আধুনিক গান গাইবেন আগুন ও ইয়াসমিন লাবন্য।
দুপুর ১.০০টায় ফোক গান পরিবেশন করবেন রাফাত, ও ইসরাত জাহান জুঁই। দুপুর ২.৪৫ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন গামছা পলাশ, ও মুনিয়া মুন। আফরিন অথৈয়ের উপস্থাপনায় সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন ফকির শাহাবুদ্দিন, ও রেখা সুফিয়ানা। রাত ৮.০০ টায় ফোক গানে অংশ বিন্দু কনা।
সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও প্রচার হবে দু’টি একক নাটক। রাত ৯.০০টায় প্রচার হবে মহিন খানের রচনা ও পরিচালনায় ‘বাসর ঘরে চোর’। এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, অহনা রহমান, আমানুল হক হেলাল, রতœা খান, সিদ্দিক মাস্টার প্রমুখ। রাত ১০.০০টায় প্রচার হবে মমিনুল ইসলাম তানিনের পরিচালনায় ‘মোহ মায়া’। এতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শিল্পী সরকার অপু, অবিদ রেহান, ও জয়ীতা মহলানবীশ প্রমুখ।
রাত ১২.০০টায় প্রচার হবে মেগা ধারাবাহিক ‘বুড়া জামাই’। জাকির হোসেন উজ্জলের রচনায়, আহমেদ রোহান রুবেল ও হানিফ খানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, কেয়া পায়েল, সাজু খাদেম, মনিরা মিঠু, আরফান আহমেদ, আমিন আজাদ, মানসী প্রকৃতি প্রমুখ।
১৮ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, আমাদের জন্য এদিনটি বড়ই আনন্দের। ১৮টি বছর একটি চ্যানেলের জন্য কম কথা নয়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যারা বৈশাখী টেলিভিশনের সঙ্গে ছিলেন এখনও যারা আছেন তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বৈশাখী টেলিভিশন যাত্রা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের কথা চিন্তা করে নানাবিধ অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। কারণ দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভবিষ্যতেও বৈশাখী টেলিভিশন সবশ্রেনীর দর্শকের কথা মাথায় রেখে আরো নতুন নতুন অনুষ্ঠান এবং বরাবরের মতো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে।
মহান বিজয়ের মাসে ব্যাপক আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল আমাদের কিন্তু বিশেষ কারণে এবারও বৈশাখী টিভি কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকছে না তবে পর্দায় এ আয়োজনের কোনো কমতি নেই। ১৮ বছরে বৈশাখীর এ পর্দা আয়োজন দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সবশেষে এমন আনন্দঘন মুহূর্তে বৈশাখী টেলিভিশনের সম্মানিীত সকল দর্শক, বিজ্ঞাপণদাতা, কেবল অপারেটরসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।