বৈশাখী টেলিভিশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের গল্পে বৈশাখী টেলিভিশনের দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘বউ শাশুড়ি’ নাটকের ১০০ পর্ব। আকাশ রঞ্জনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, আল মনসুর, অহনা, সাজু খাদেম, মুনিরা মিঠু, আরফান আহমেদ, নাজিরা মৌ, জয়রাজ, অবাক, আইরিন তানি, আমিন আহদে, অনামিকা, গুলশান আরাসহ অনেকেই। প্রচারিত হচ্ছে সপ্তাহে তিন দিন শনি, রবি ও সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে।
নাটক নিয়ে বলতে গিয়ে গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, মা-বাবা, ভাই বোন, স্ত্রী সন্তান নিয়েই আমাদের সংসার। সংসার সুখের হবে এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সংসারে সুখ যেন সোনার হরিণ। বউ শাশুড়ির সম্পর্কই এর মূল কারণ। বউ-শাশুড়ির এ যুদ্ধটা এখন যেন সামাজিক ব্যাধি। তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। ছেলে কার মন রক্ষা করবে ? মায়ের না স্ত্রীর ? সংসারে শুরু হয় প্রতিযোগিতা,দ্বন্দ্ব,অশান্তি। এমন ঘটনা অনেক পরিবারের মধ্যেই বিরাজমান।
অথচ শাশুড়ি যদি তাঁর ছেলের বউকে মেয়ের মতো আর বউ যদি তাঁর শাশুড়িকে মায়ের মতো মনে করতো তাহলে এমন অশান্তি আর দেখা যেতোনা। শাশুড়িরা নিজের মেয়েকে রাজরানী এবং ছেলে বউকে চাকরানী মনে করেন। তাঁরা যদি সবাইকে সমান চোখে দেখতো তাহলে আর এমন হতো না। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই বউ-শাশুড়ি নাটকের গল্পটি লেখা। আমার লেখা এ নাটকটি দর্শক গ্রহণ করায় এবং জনপ্রিয়তা পাওয়ায় খুব ভালো লাগছে। আগামীতেও এ জনপ্রিয়তা অব্যাহত থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
বউ- শ্বাশুড়ি নাটকের কাহিনী হচ্ছে- গল্পের নায়ক আবিরের বিয়ে নিয়ে পরিবারের সবাই যখন ব্যতিব্যস্ত তখন আবির তার প্রেমিকা শিলাকে বিয়ে করে বাসায় নিয়ে আসে। শুরু হয় পারিবারিক দ্বন্দ্ব। কারণ আবিরের মা রওশন আরা তার ছেলের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই তার ব্যবসায়িক পার্টনার আজমল সাহেবের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। কারণ আজমল সাহেবের মেয়েকে পুত্রবধূ বানাতে না পারলে রওশন আরাকে পুরো পরিবার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে। মেজ ছেলে দুলাল দায়িত্ব নেয় শিলাকে বাড়ি থেকে বের করে আজমল সাহেবের মেয়ে ডায়নাকে বাড়ির বউ করার। সে আদৌ কি সেটা পারে? এমনই নানা উত্তেজনা আর নাটকীয়তা নিয়ে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন