এটিএন বাংলায় (১৪ ফেব্রয়ারি) রাত ১১.৫০ মিনিটে প্রচার হবে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক ‘ভালোবেসে যাই’। মঞ্জুর মরু’র রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন রাকেশ বসু। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, রোজী সিদ্দিকী, শিরিন আলম, ফারহান আহমেদ জোভান, সাফা কবির, দৃষ্টি দোলা, সিনথিয়া, সোনালী প্রমুখ।
মিজানুর সাহেব ও তার স্ত্রী মনিকার ২৫ বছর হতে চলল বিয়ের। বিচ্ছেদের এই যুগে এটা একটা এচিভমেন্ট বটে। ফলে মিজানুর সাহেব এটা পালনের জন্য প্রায় এলাহী কারবার করেছেন। একটা রিসোর্ট ভাড়া করে সাতদিনের আয়োজন করে ফেলেছেন। ডেকে নিয়েছেন কাছের দূরের আত্মীয় স্বজন সবাইকে। আমেরিকা থেকে উড়ে আসছে তাদের একমাত্র মেয়ে নোভাও। যে যাই বলুক মিজানুর সাহেব আসলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তার মেয়ের জন্যই। কতদিন মেয়েটাকে দেখেন না! ওদিকে কষ্টে পড়েছে রাহাতও। তার মাকে নিয়ে আসছে এই রিসোর্টে। টাকা-পয়সার সংকট তার আছে কিছু; অন্যদিকে বিবাহ বার্ষিকীতে যোগ দেওয়ার মত ন্যাকামিও তার নেই। কিন্তু মায়ের একটাই কথা–এত করে ভাই ভাবি বলল না করাটা কেমন হয়? মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এ কয়টা দিন যেন কষ্ট করে রাহাত।
এর মধ্যেই নোভা চলে আসে আমেরিকা থেকে। রিসোর্ট যেন ঝলমলিয়ে ওঠে। সবাই তাদের নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে নোভার মোবাইলটা হারিয়ে গেলে রাহাত তা খুজে বের করে। নোভার ফোন বের করার পর রাহাতের গুরুত্ব একটু বাড়ে। রাহাত সবার সাথে কাজে মিশে যায়। এক পর্যায়ে নোভা রাহাতকে ডেকে জানায় তার বান্ধবীরা প্রেম করতে চায়। রাহাত কার সাথে প্রেম করবে? রাহাত বলে দেয় সমস্যা একটাই, তার প্রেমিকা আছে। শুরু হয় নোভার গোয়েন্দাগিরি। অনুষ্ঠানের মধ্যেই কেকের বিল দিতে গিয়ে ধাক্কা খায় নোভার সাথে রাহাত। রাহাতের মানিব্যাগটা পড়ে গেলে হাসতে হাসতে কুড়িয়ে সেটা চেক করতে যায় নোভা। মানিব্যাগ দেখে তার হাসি মুছে যায়। রাহাতের মানিব্যাগের ভিতর নোভার ছোটবেলার ছবি।