ঈদে টেলিভিশনের জনপ্রিয়তম আয়োজন শাইখ সিরাজের উপস্থাপনা ও নির্মাণে ফার্মার্স গেইম শো ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে নানা দূর্যোগ, এর ভেতরেই কৃষকের সুখ দুঃখ খুঁজে নির্মিত হচ্ছে ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। এবার কৃষকের ঈদ আনন্দের মূল প্রতিপাদ্য বর্ষা। প্রচারিত হবে যথারীতি ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় চ্যানেল আইতে।
দুর্যোগই এদেশের মানুষের সঙ্গী। সময় যত খারাপই হোক না কেন, তা মোকাবিলা করেই নিজের হাসি হাসেন গ্রাম বাংলার মানুষ। অন্যের মুখে এঁকে দেন হাসির রেখা। শ্রাবণের অবিরাম বারিধারা যেমন গোটা প্রকৃতিকে শান্ত সবুজ করে চলেছে, মানুষকে বিপর্যস্তও করছে কম নয়। আষাঢ়ের কালো মেঘ মাথার ওপর রেখে বহুবার হাজারো মানুষ নিয়ে কৃষকের ঈদ আনন্দ আয়োজন হয়েছে। গ্রামীন জনগোষ্ঠির আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তিকে জাগিয়ে রাখতে। এই সময়েও গ্রাম বাংলার মানুষ যখন শঙ্কা আর সংশয়ে এক অন্য পৃথিবীর মানুষ ভাবছে নিজেদের, তখনও শাইখ সিরাজের আহ্বান, ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু’। ঠিক এই সময়ে সব মানুষই চাইছে মানসিক শক্তি।
আজকের এই দুর্যোগ কারোর একার নয়, শুধু আমাদের নয় সারা বিশ্বের মানুষ, আজ একই বাস্তবতায়। আর সময়টি পার করতে হবে সেই একই প্রত্যয়ে, দুর্গম গিরি কান্তারি মরু দুস্তর পারাবার হে…।
কৃষকরে ঈদ আনন্দে এবার বিভিন্ন সময়ে বর্ষার ভেতরে যেসব খেলার আয়োজন করা হয়, তা সংকলিতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে থাকছে, পৃথিবীর অনন্য কৃষি ঐতিহ্য দেশের দক্ষিণের এই ভাসমান চাষ এর গল্প, শাপলা সংগ্রহ ও শাপলা কেন্দ্রিক জীবন ধারনের গল্প, নদী ভাঙনের দুঃখগাথা, নৌকা বাইচ। বর্ষায় নদীমাতৃক বাংলাদেশ যেন ফিরে পায় তার আদিরূপ। খাল-বিল নদীগুলো পানিতে টইটম্বুর হয়ে ওঠায় আমাদের জীবনে যোগ হয় পৃথক এক ছন্দ।
দারুণ সম্ভাবনায় জেগে ওঠে বর্ষা ও নদীকেন্দ্রিক পর্যটন। বর্ষায় ঝলকাঠির ভিমরুলি, ভাসমান পেয়ারার বাজারের গল্প। এর সঙ্গে এবার নতুন আয়োজন হিসেবে যুক্ত হয়েছে খড়মের গল্প এবং তরুণ ও বৃদ্ধদের মাঝে খড়ম পায়ে দৌড় প্রতিযোগিতা। মাঝে থাকবে বর্ষার গান।
শাইখ সিরাজ বলছেন, আমাদের গাইতেই হবে জীবনের জয়গান। মানুষ হিসেবে জয়লাভ করতেই হবে সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিকূল সময়ে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় উদযাপন করছেন পবিত্র ঈদুল আযহা। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই মুসলিম জাহানের এই ঈদ। ত্যাগ আর ভালোবাসাই হতে পারে আজ মানবজাতির সবচেয়ে শক্তি। সবার জীবন নিরাপদ হোক। ঈদ মোবারক।