ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের আয়োজনে থাকছে ১৪টি নতুন নাটক, ১৪টি সিনেমা, জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান এবং বিশেষ ম্যাগাজিনসহ নানা আয়োজন। নাটকগুলোর মধ্যে ৭টি একক, এবং ৭ পর্বের ৬টি ধারাবাহিক।
১৪টি নাটকের মধ্যে ৬টি নাটকেরই গল্প লিখেছেন বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। এর মধ্যে ৩টি একক ও ৩টি ধারাবাহিক। একক নাটক তিনটি হলো, সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে, সরদার রোকনের পরিচালনায় রাশেদ সীমান্ত, নাদিয়া আহমেদ ও অলিউল হক রুমি অভিনীত ‘হিল্লা বিয়ে’, মনিরুজ্জামান মনির চিত্রনাট্যে, অনন্য ইমন পরিচালিত অবিদ রেহান, শিখা মৌ, ইমতু রাতিশ, নরেশ ভূঁইয়া, মিলন ভট্ট অভিনীত ‘প্রথম সন্তান’ এবং অনামিকা মণ্ডলের চিত্রনাট্যে, ফরিদুল হাসানের পরিচালনায় স্প্যানিশ অভিনেত্রী ডায়ানা, ফারুক আহমেদ অভিনীত ‘ফরেন লাভ’।
৩টি ধারাবাহিকের মধ্যে জাকির হোসেন উজ্জলের চিত্রনাট্যে ফরিদুল হাসানের পরিচালনায় উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, রওনক হাসান, জামিল হোসেন, বড়দা মিঠু অভিনীত ‘সুন্দরী বাঈদানী-২’, জাকির হোসেন উজ্জ্বলের চিত্রনাট্যে হানিফ খান ও আহমেদ রোহান খান রুবেলের যৌথ পরিচালনায় জাহিদ হাসান, মীম মানতাশা, আরফান, সাজু খাদেম অভিনীত ‘বুড়া জামাই-২’ এবং আহসান আলমগীরের চিত্রনাট্যে ও আল হাজেনের পরিচালনায় মৌসুমী হামিদ, রাশেদ সীমান্ত, আমিরুল হক চৌধুরী, আরফান, মিলন ভট্ট অভিনীত ‘শিয়াল বাড়ি-২’।
বাকি দুটি ধারাবাহিকের মধ্যে হাসান জাহাঙ্গীরের রচনা ও পরিচালনায় চিত্রনায়িকা সিমলা, হাসান জাহাঙ্গীর, ড্যানিরাজ, নিথর মাহবুব অভিনীত ‘আমার বউ সেলিব্রিটি’ এবং সাজ্জাদ স্বপনের রচনায় ও ফজলুল হকের পরিচালনায় মীর সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, তারিক স্বপন, আব্দুল্লা রানা, শিরিন আলম, হান্নান শেলী অভিনীত ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’।
অপর ৪টি একক নাটকের মধ্যে সুবাতা রাহিক জারিফার রচনায়, সাজিন আহমেদ বাবুর পরিচালনায় রাশেদ সীমান্ত, নীলাঞ্জনা নীলা অভিনীত ‘আমি মীর জাফর’, রুহুল আমিন পথিকের রচনায়, মুজিবুল হক খোকনের পরিচালনায় মীর সাব্বির, নাবিলা ইসলাম অভিনীত ‘মজিদের কোলবালিশ’, মীর্জা রাকিবের রচনায়, সাদেক সিদ্দিকীর পরিচালনায় শিপন, হুমায়রা সুবা অভিনীত ‘কারাতে বউ চাই’ এবং সজল আহমেদের রচনায়, মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর পরিচালনায় ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শেলী আহসান অভিনীত ‘খয়ের পান’।
নিজের লিখা নাটক নিয়ে বলতে গিয়ে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা আর আশপাশের মানুষের জীবনের গল্প নিয়েই নাটকের কাহিনী আবর্তিত। হাস্যরসে ভরপুর এ নাটকগুলো করোনাকালে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষকে কিছুটা বিনোদন দিবে বলে আমার বিশ্বাস। তাছাড়া বৈশাখী টেলিভিশনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দর্শকদের বিনোদন দেওয়া। কতটুকু পেরেছি সে বিচারের ভার বৈশাখী টেলিভিশনের দর্শকদের, যাদের ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় আমাদের এগিয়ে চলা। সবশেষে বলব ঈদে বৈশাখী টেলিভিশন দেখুন, ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।’