English

25 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

স্মৃতির পাতায় গোয়া

- Advertisements -

নাসিম রুমি: আষাঢ় মনেহয় কখনো শ্রাবণকে ভালোবেসে ছিল তাই কাছে না পাওয়ার যন্ত্রনা থেকেই বর্ষায় এত বৃষ্টি হয়। আকুল হয় আকাশ ব্যাকুল হয় বাতাস। কিছু কথা অমিল, কিছু চাওয়া স্বার্থহীন। তবুও হৃদয়ের যন্ত্রনাটা থেকেই যায়। খুব আক্ষেপ– অভিমান লাইফ পেরিয়ে আজ ২৭/১/১৯ গোয়ার অঞ্জুনাও কালাঙ্গুটে শেষ পবণের রাত্রি।

সময়ের সঙ্গে বদলিয়ে যায় জীবন আর জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক। শেষতক সম্পর্কেও ফাটল ধরে। গোয়ার অঞ্জুনা ও কালাঙ্গুটের বীচে বিদেশীরা অর্ধনগ্ন অবস্থায় সানবার্থ ও স্নান করবেনা তা কি ভাবা যায়? অঞ্জুনা বীচে পাথরে এসে ধাক্কা খায় ঢেউ, আবার ফিরত যায়, আবার ফিরে-ফিরে আসে। আবহমানকাল ধরে এভাবেই চলে আসছে।

পাহাড় আর সারি-সারি নারিকেল গাছ লাগামহীন ঢেউ মনটাকে রঙ্গিন করে তোলে। পূনরায় বলছি গোয়ার সৈকত আর তাতে বিদেশী নেই তাতো হতেই পারে না। বীচ লাগোয় আর সার বাধাঁ নৌকা। এছাড়াও ছোট ছোট রঙবেরঙ্গের ছাওয়া কুড়েঘর। বিদেশীদের বিশ্রামাগারও বলা যায় আবার প্রয়োজনে নিশিযাপনও করা যায়।

সী-বিচ থেকে একটু দূরে পাহাড়ের কোলে বসে নারিকেল গাছের সমুদ্রের দিকে তাকাই ঠিক সেই মুহুত্বে দেখতে পেলাম এক যুগল বিদেশী আমার দিকে ইশারা করছেন। তারা খুবই অন্তরঙ্গভাবে ছিলেন, আমি তাদের কাছে আসি এবং হতভাগ হয়ে যাই। কারণ গত দুই বছর আগে আমি যখন গোয়তে এসেছিলাম তখন এই র্জামানির প্রেমিক-পেমিকার সাথে ট্যুরিষ্টবাসে পরিচয় হয়েছিল।

সমস্ত দিন ট্যুরিষ্টবাসে একসাথে গোয়ার বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করেছিলাম। কাছে যাওয়া মাত্রই ভালো লাগার আবেগে আমরা এক অপরকে জড়িয়ে ধরি। সমস্ত দিন অঞ্জুনা বীচেই কাটিয়ে দিই। রাতে একসঙ্গে ডিনার করি।অঞ্জুনার বুকে নির্জনতার উল্লাস ও বিদেশীদের নগ্নতা এবং লাভ, আর ধোঁকা এই নিয়ে গোয়া।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন