নাসিম রুমি: সিকিম মানেই পাহাড়ি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে যত উপরে উঠা। চিরহরিৎ অরণ্যের আস্তরণে পাহাড়, তাদের গা বেয়ে নেমে এসেছে ছোট বড় অসংখ্য ঝোরার উজ্জ্বল রুপালি প্রবাহ। তাদের কেউ কেউ মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে এসে হাজির।
নীচে অসাধারণ উপত্যকার দৃশ্য। ক্ষণে ক্ষণে মেঘেদের জমাটি লুকোচুরি দেখতে দেখতে সর্পিল পাহাড়ি পথে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য আর হিমালয়ের হিমশীতলতা। কখন যে সে নদী তিস্তা ছেড়ে রানিখোলা হয়ে যাবে বোঝাও যাবেনা। সঙ্গে হাড় হিম করা ঠান্ডা বাতাস, মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া জলের স্রোত, এক স্বর্গীয় অনুভুতি।
আলপাইন সৌন্দর্যের জন্য একে প্রায়ই “পূর্বের সুইজারল্যান্ড” বলা হয়। এখান থেকে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। গ্যাংটক তার বিচিত্র রূপের সমাহারে পর্যটকদের মুগ্ধ করে। প্রাসাদ, গুম্ফা, অর্কিড, কাঞ্চনজঙ্ঘার বাইরেও অনেক রূপের ঐশ্বর্য আছে তার নানান বাঁকে।
গ্যাংটক থেকে যেতে পারেন ছাঙ্গুর উদ্দেশ্যে অথবা ওল্ড বাবা মন্দির। একই রাস্তায় তিনটি ঘোরার জায়গা ছাঙ্গু হ্রদ, নতুন বাবা মন্দির আর পুরানো বাবামন্দির বা বাবার বাঙ্কার। ছাঙ্গু লেকের স্থানীয় নাম সোমগো। যেতে পারেন লাচেন হয়ে গুরুডোংমার লেক। চাইলে যেতে পারেন ইয়ুমথাং। বলা হয় সিকিম পরিদর্শনের সেরা সময়: মার্চ থেকে আগস্ট। লোকাল সাইটসিয়িং এর মধ্যে আছে রুমটেক মনাস্ট্রি, টিবেটোলজি, চোর্তেন সৌধ, ফ্লাওয়ার শো, কটেজ ইন্ডাস্ট্রি, নামনাং ভিউ পয়েন্ট, তাশি ভিউ পয়েন্ট, হনুমান টক, গণেশ টক, জুওলজিকাল গার্ডেন, ইঞ্চে মনাস্ট্রি। সিকিমের হস্তশিল্প সংগ্রহে রাখার মত। ফারের টুপি, থাঙ্কা, কার্পেট, চা প্রভৃতি কেনার তালিকায় রাখা যায়।