English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

মালদ্বীপে সৈকত গুলো সত্যিই অপরূপ

- Advertisements -

নাসিম রুমি: সকল পর্যটক সমুদ্র পছন্দ করেন, নারিকেল গাছের বাগান পছন্দ করেন এবং নির্জনতা হারিয়ে যেতে চান তাদের জন্য মালদ্বীপ আর্দশ পর্যটন স্থান। মালদ্বীপে সৈকত গুলো সত্যিই অপরূপ। একাধিক নীল জলের নয়ন জুড়ানো সৈকত রয়েছে। এবং রির্সোটগুলো তুলনাহীন। তবে রির্সোট খুবই ব্যয়বহুল। বিদেশের পর্যটকদের ভীর মালদ্বীপে সর্বদা দেখা যায়। স্বল্পবস্ত্র পরিধারান করে বিদেশীরা সৈকতে গোসল করেন। তাদের এই স্বল্পবস্ত্র দেখে কেউ লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নেন। আবার কেউ-কেউ বেশ উৎসাহিত হয়ে উপভোগ করেন। কেরালার রাজধানী ত্রিবান্দ্রম থেকে মাত্র এক ঘন্টার বিমান জার্নিতে মালেতে যাওয়া যায়। বিমানের জানালা থেকে উঁকি দিলে মনে হবে সমুদ্রের গর্ভে বিমান অবতরণ করবে। কিন্তু বাস্তবে তা না। বিমান বন্দরেই অবতরণ করবেন। বিমান বন্দরের চারিদিকে সমুদ্র তাই এমনটি আমার মনে হয়েছিল। বিমান বন্দরের বাইরে এলেই পাবেন সমুদ্র বন্দর। সারি-সারি লঞ্চ প্রতিক্ষায় রয়েছে যাত্রী পারাপারের জন্য। এখানে হোটেলের দালালদের উৎপাত বেশ। তারাই দায়িত্ব নিয়ে সমুদ্র পার করে হোটেলে পৌছে দিবে। মালে শহরের যে প্রান্তেই আপনার ঠিকানা হউক না কেন সমুদ্র আপনার দৃষ্টি আড়ালে হবেনা। এটা পর্যটকদের জন্য বাড়তি পাওয়ানা।

পরিবারের সঙ্গে কিংবা মনের মত সঙ্গীকে নিয়ে মালদ্বীপ ভ্রমনে যেমনটি আনন্দ রয়েছে। তেমনিভাবে সঙ্গী বিহীন একাকী ভ্রমনও কম আনন্দ নয়। প্রথমদিনটি মালে দ্বীপ ভ্রমন করুন। খুব ভোরে চলে আসুন সমুদ্রপাড়ে। আপনার সামনে ডাইনে, বায়ে সমুদ্র ঘননীল জল, ঘন সবুজ গ্রাম, ছোট ছোট বাড়ি। পথে মানুষের ভিড় নেই, ব্যস্ততা নেই। মানুষ জন শান্ত প্রকৃতির, এগিয়ে চলুন সমুদ্রের পাড় ধরে। কখনও নারিকেল বাগান, কখনও ঝাউবনের ছায়া পথ দিয়ে হেঁটে চলেছেন। তটরেখার পাথর বিছানো গোলাকার লেগুন, শান্ত নীল জলের গভীরতা কম। এখানে এশিয়া এবং ইউরোপের পর্যটশরা গোসল করছেন। আরও কতকিছু করছেন যা শুধু দেখা যায়, উপভোগ করা যায়। কিন্তু লেখা যায়না। কারন তা অশ্নীলতার সামিল। মালদ্বীপের সৌন্দর্য্য হচ্ছে সমুদ্রের ছোট-ছোট দ্বীপ নারিকেল গাছের সারি ও রির্সোট। মালদ্বীপে এসে ভিলিগিন দ্বীপে ভ্রমন না করলে ভ্রমনের পূর্নতা আসবেনা। তাই পর্যটক বন্ধুদের উদ্দেশে বলছি অন্তত আর যাই মিস করেন না কেন ভিলিগিন দ্বীপ মিস করবেন না। সমুদ্রের মধ্যে ছড়িয়ে আছে কত ছোট ছোট দ্বীপ। চলে যান কোনও দ্বীপে, যাওয়া আসায় নৌকোভাড়া বেশি না, সময়ও বেশি লাগে না। সকালে বিকেলে দুটো করে দ্বীপ বেড়িয়ে আসুন। প্রকৃতির নিসর্গ আনন্দপ্রবাহের সঙ্গে দেহ-মন ভাসিয়ে দিয়ে কাটিয়ে দিন তিনটি দিন কাছের দ্বীপ বেলিগিন খুব ছোট কিন্তু সবুজে অসাধারণ সাগরের জলে পাডুবিয়ে বসে বসে রঙ্গীন মাছের খেলা দেখতে দেখতে সময় কেটে যাবে। অফসর বিনোদনের এমন প্রকৃতির দৃশ্য হাতছাড়া করা কি সঠিক হবে?

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সারাসরি মালদ্বীপে যাওয়ার বিমান নেই, ব্যাংকক, শ্রীলংকা কিংবা ভারতের ত্রিবান্দম থেকে বিমানে যেতে হবে। কম খরচে মালদ্বীপ যাওয়ার উত্তম পথ হলো ঢাকা-কলকাতা বিমানে যেয়ে কলকাতা থেকে দুই রাত ট্রেন সফরে সরাসরি ত্রিবান্দম। এখান থেকে মাত্র এক ঘন্টার বিমান জার্নিতে মালদ্বীপ। যদি ৭দিন মালদ্বীপে অবস্থান করেন এবং বিলাসবহুল রির্সোটে যদি না থাকেন তাহলে যাতায়াত খরচ বাদে ৪০০ মার্কিন ডলার লাগবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন