নাসিম রুমি: তামিলনাড়ুর ‘সৈকতশহর’ হল কন্যাকুমারী। ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তও এটি। সুন্দর স্থাপত্য এবং সবুজে ঘেরা স্থান পর্যটকের আকর্ষণ করে। ওয়েস্টার্ন ঘাট এবং পাহাড়-সমুদ্রের মেলবন্ধন কন্যাকুমারীকে পর্যটনের অন্যতম ক্ষেত্র করে তুলেছে।
মাট্টম বিচ- পাথর পাথর এবং পাথর। এখানের সৈকত ঘেরা পাথরে। কন্যাকুমারীর সবচেয়ে জনপ্রিয় বিচগুলির একটি। এখান থেকে সমুদ্রের অবিরাম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। সূর্যাস্তের সময় এই সৈকতের রূপ অনবদ্য। এছাড়াও ব্রিটিশ আমলের লাইটহাউস ও বেশ কিছু পর্যটন স্থানও রয়েছে।
সাঙ্গুথরাই বিচ- একটু শান্ত, নিরিবিলি, একান্ত সময় কাটানোর জন্য সেরা বিচ। কন্যাকুমারী ট্যুরের প্রধান আকর্ষণও। ইচ্ছে মতো সাঁতার কাটা থেকে ঢেউয়ের প্রাবল্য দেখতে দেখতে সময় কখন পেরিয়ে যাবে টের পাওয়া যায় না। ফটোগ্রাফির জন্যও সেরা জায়গা।
সোথাভিলাই বিচ- এটি দক্ষিণের রাজ্যটির দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতগুলির মধ্যে একটি। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই দীর্ঘ সৈকত সাঙ্গুথরাই বিচ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যদিও সৈকতটি অতীতের দাগও বহন করে। ২০০৪ সালে ভয়ঙ্কর সুনামিতে তছনছ হয়েছিল এই এলাকা। নতুন করে সেজে উঠলেও ক্ষত আজও সার
থেঙ্গাপট্টিনাম বিচ- নারকেল গাছের সারি দিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই সুসজ্জিত। এই সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। পিক সিজনে ভিড়ভাট্টা থাকে, তবে গোটা সৈকতটি শান্ত ও নির্মল। বিচের পাশেই হোটেল কিংবা রিসর্ট বুক করে সমুদ্র শোভা উপভোগ করতে পারবেন।
কন্যাকুমারী বিচ- ঢেউয়ের গর্জন এই বিচের আকর্ষণ। এখানে সমুদ্র উত্তাল থাকে সবসময়। সূর্যাস্তের সময় সেই রূপই পর্যটকদের কাছে মোহময়ী হয়ে ওঠে।