নাসিম রুমি: আমরা শুধু বিদেশ-বিদেশ করি এবং বিদেশের সৌন্দর্য্যরে মাঝে হারিয়ে যেয়ে প্রচুর টাকা ব্যয় করি। অবশ্য বিদেশে দেখার মত অনেক কিছুই রয়েছে। যা চোখ ও মন জুড়িয়ে যায়। আমিও পৃথিবীর অনেক দেশেই ভ্রমন করে সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়েছি। এবং তৃপ্ত হয়েছি। দেশ-বিদেশ ভ্রমন করে ক্ষণিকের সুখ খুঁজে পাই তা সত্য।
আমাদের বাংলাদেশের মধ্যেই যে প্রকৃতির অপরূপের মাঝে এবং চা-বাগানের উচু-নিচু পাহাড়ের পাদদেশে চোখ জুড়ানো, মন জুড়ানো এবং হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত শ্রীমঙ্গলে অফুরন্ত সুন্দর, অফুরন্ত চোখ জুড়ানো নয়ানাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্জন এলাকার, পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত গ্র্যান্ড সুলতান টি-রিসোর্ট এন্ড গলফ রয়েছে তা শুধু বাংলাদেশের বিত্তশালীদেরই হয়তো বা জানা আছে।
গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ঠ করার জন্য সব কিছুই বিদ্যমান। শিশুদের জন্যও আলাদা একটি অপূর্ব সুন্দর সুইমিংপুল রয়েছে। আর বড়দের জন্য যে সুইমিং পুলটি রয়েছে আমার মনে হয় বিশ্বের দশটি ব্যয়বহুল সুইমিংপুলের মধ্যে গ্র্যান্ড সুলতান রির্সোটের সুইমিংপুলটি অন্যতম। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য ২০১৪ সালে বিশ্বের শেষ্ঠ অভিজাত হোটেলের বিজয় হন আমাদের দেশের এই গ্র্যান্ড সুলতান টি-রিসোর্ট এন্ড গল্ফ।
যা সত্যিই আমাদের দেশের সুনাম বয়ে এনেছে। তাই এই রিসোর্টের কর্ণধার খাজা টিপু সুলতান অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখেন। তিনি এই অভিজাত হোটেলের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সৌন্দর্য্যে তুলে ধরেছেন। তবে বিনোদনের সবকিছুই থাকার পরও পর্যটকরা একটি জিনিসের অভাব বোধ করছেন, বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকরা।
এই অভিজাত হোটেলে এখনো বার চালু হয়নি। যা পর্যটকরা হতাশ হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। বিশ্বের অন্যতম শেষ্ঠ অভিজাত গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট বার নেই তা কি ভাবা যায়? এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। বিদেশী পর্যটকদের মনোরঞ্জন করার জন্য।