ভ্রমণপীপাসুদের আকৃষ্ট করা এবং ভিন্নমাত্রার আনন্দ দিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর পাহাড়ি জনপদে গড়ে তোলা গজনী অবকাশ কেন্দ্রে ক্যাবল কারসহ ৩টি নতুন স্থাপনা চালু করা হয়েছে। অন্য দুই আকর্ষণ জিপ লাইনিং ও ঝুলন্ত ব্রিজ। এতে এক পাহাড়ি টিলা থেকে আরেক পাহাড়ি টিলায় রোমাঞ্চকর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন পর্যটকরা। জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ গতকাল শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ৩টি স্থাপনার উদ্বোধন করেন।
এসময় অতরিক্তি জলো ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এম. মুরশেদ আলী, ঝিনাইগাতীর ইউএনও ফারুক আল মাসুদ এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দওেয়া হয়। নতুন স্থাপনা তিনটি নির্মাণে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে এসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ ১৮ ডিসেম্বর শনিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে গজনী অবকাশ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, শেরপুরের গজনী অবকাশ ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে আরাধ্য এক নাম। ‘র্পযটনের আনন্দে তুলসীমালার সুগন্ধে’ জেলা ব্র্যান্ডিংয়ে গজনী অবকাশ শেরপুরকে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছে। দেশের নানা প্রান্তের লোক কাজের ফাঁকে কিংবা ছুটির অবসরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন।
কেউবা একাকী, কেউবা বন্ধু-বান্ধবসহ ছুটে যান গজনী অবকাশে। গজনীর অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে জুড়ায় তাদের মন-প্রাণ। নতুন নতুন স্থাপনা ও বিভিন্ন রাইড সংযোজনের মাধ্যমে গজনী অবকাশকে পর্যটক ও ভ্রমণপিয়াসীদের নিকট আমরা আরো আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে চাই। আশা করছি নতুন সংযোজিত ৩টি স্থাপনা শেরপুরের পর্যটন বিকাশে বিশেষ ভূমকিা রাখবে।
শেরপুর জেলা সদর থেকে আনুমানিক ২৮ কিলোমিটার দূরে ভারতের মেঘালয় সীমান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনয়িনের গজনী শালবনের প্রায় ৯০ একর জায়গাজুড়ে ১৯৯৩ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়।
শালবনের ভেতর উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলা, নদী-ঝর্ণার অর্পূব সমাহার এবং নান্দনিক ও আকর্ষণীয় নানা স্থাপনা নির্মাণের ফলে গজনী অবকাশ এখন জেলার বৃহৎ পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর এখানে হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণে আসছেন।