English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

শীতে বিশাখা পত্তন অপরূপা

- Advertisements -

নাসিম রুমি: সমুদ্র ভাল লাগে, না পাহাড়, এই দ্বন্দ্ব বোধহয় চিরকালের। তবে যদি একযাত্রায় দুটোই পাওয়া যায়, তা হলে নিশ্চয় আপত্তি করবেন না। এই দুই-ই একসঙ্গে পেতে চলে যান বিশাখা পত্তনমে। ভারতের অন্যতম ব্যস্ত সাগর বন্দর এই শহর।

শহরের একদিকে বঙ্গোপাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ছে, অন্যদিকে সবুজে মোড়া পূর্বঘাট পর্বতমালা। বিশাখা পত্তনমে রয়েছে অনেক কিছূ দেখার। বিশাখা পত্তনমে অবশ্য। আরও দু’ টি নামে পরিচিত, দু’টি ইংরেজদের দেওয়ার ওয়ালটেয়ার ও ভাইজ্যাগ।

এখন ওয়ালটেয়ারের প্রচলন খুব একটা না থাকলেও, সাধারণ পর্যটকদের কাছে ভাইজ্যাগ নামটাই অতিপরিচিত। শহর দর্শনের প্রথমেই যেতে পারেন রামকৃষ্ণ বিচে। রামকৃষ্ণ বিচ এখানকার প্রধান আকর্ষণ। বিশাখা পত্তনম ষ্টেশন থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অতি মনোরম এই বিচ। সমুদ্রর পাশ দিয়ে অনেকটা দূর হেঁটে যাওয়া যায়।

পরিস্কার বিচে দারুন বসার ব্যবস্থা আছে। বিচে বসে সোনালি বালুরাশি, পাথরে আছড়ে পড়া ঢেউ আর তা থেকে উঁচুতে ছিটকে যাওয়া ঢেউ দেখতে বেশ মজা লাগে। এখানে সমুদ্র বেশ পাথুরে তাই গোসল করা বিপজ্জনক। রামকৃষ্ণ বিচ থেকে গাড়িতে মাত্র একঘন্টায় পোছতে পারেন ইয়ারাডা সৈকতের পথ অতি মনোরম। দেখে নিতে পারেন কৈলাশগিরি পাহাড়ের উপরে তৈরি করা পার্ক, ভিউ পয়েন্ট তিনদিক সমুদ্র দিয়ে ঘেরা।

রোপওয়েতে চড়ে একইসঙ্গে আর পাহাড় দেখার আনন্দই । আলাদা টাইটানিক পয়েন্ট থেকে শহর দেখা যায় এক ঝলকে। চমৎকার সে দৃশ্য। এখানকার বিশালাকার শিব পার্বতীর মূর্তি নজর কাড়ে। রামকৃষ্ণ বিচ থেকে কিছুটা গেলে পারেন ঋষিকোন্ডা বিচ। সোনালি বালুতট একদিকে পূর্বঘাট পাহাড়, অন্যদিকে ঝাউবন। এই সৈকতটি সত্যিই অপরূপা।

কীভাবে যাবেন বিশাখা পত্তনম
হাওড়া থেকে করমগু এক্সপ্রেস, চেন্নাই মেল, ফলকনামা এক্সপ্রেস, বা শালিমার থেকে বিশাখা পত্তনম এক্সপ্রেস, বিশাখা পত্তনম যেতে পারেন। বা ফ্লাইটেও বিশাখা পত্তনম যেতে পারেন। ট্রেনে চৌদ্দ ঘন্টা সময় লাগে। থাকার জন্য বিশাখা পত্তমনে অসংখ্য হোটেল রয়েছে। তবে সৈকতের কাছে হোটেল থাকার মজাই আলাদা।

নাসিম রুমি, সাংবাদিক, লেখক ও পর্যটক।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন