নাসিম রুমি: মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ একটি জলপ্রপাত। এটি সিলেটের মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবস্থিত। এর সৌন্দর্য সত্যই অতুলনীয়। সারা বছরই এই অসাধারন জলপ্রপাত দেখার জন্য পর্যটকরা এখানে ভিড় জমান।
তবে বর্ষাকালে এবং শীতকালে পর্যটদের আগমন বেশি ঘটে। বিশেষকরে বর্ষাকালে পর্যটকের সমাগম একটু বেশি লক্ষ্যনীয়, কেননা এ সময় এর রুপ যৌবনে পরিণত হয় যা দেখতে সত্যই মনোমুগ্ধকর। আমি একাধিবার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত দেখতে সফর করেছি। চলতি বছরের জুলাই মাসেও সেখানে ভ্রমন করেছি। সত্যিই আমি এই বর্ষাকালে তাঁর রুপ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তবে এখনও এই জলপ্রপাতে কর্তৃপক্ষরা পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত কোনো সুবিধা করেনি।
পর্যটকরা তাদের নিরাপত্তা এবং থাকার সুব্যবস্থা না থাকায় সেখানে যাওয়ার প্রতি আজকাল অনীহা প্রকাশ করছে। আমি আশা রাখি যদি এই জলপ্রপাতের কিছু উন্নয়ন করা হয় এবং পর্যটকদের জন্য এই জলপ্রপাত এর সৌন্দর্য পরিপূর্ণ উপভোগ করার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তবে এর সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ সম্পর্কে সকলে অবগত হবে এবং যথার্ত মূল্যায়ন হবে। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত অবহেলিত হওয়ার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি এ বিষয়টি একটু দৃষ্টিগোচর করে এর সঠিক মুল্যায়ন করার।
কোথায় থাকবেনঃ
এখানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সুবিধার্থে একটি রেস্টুরেন্ট, রেস্টহাউস ও বসার জন্য কিছু শেড নির্মাণ করেছে। চাইলে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট এ থাকতে পারেন। কিন্ত জলপ্রপাতের নিকটে থাকার কোন আবাসিক হোটেল না থাকার কারনে পর্যটকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কিভাবে যাবেনঃ
সিলেট বা মৌলভীবাজার থেকে গাড়িতে করে যেতে পারেন। মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার এবং সিলেট থেকে দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার।
ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন, বিমান সকল পথেই মৌলভীবাজার যাওয়া যায়। ঢাকার সায়েদাবাদ, কমলাপুর, কল্যাণপুর সহ দেশের যেসকল স্থান থেকে মৌলভীবাজার জেলার বাস ছাড়ে সেখান থেকে মৌলভীবাজারের বাসে করে কুলাউড়া নামতে হয়। ঢাকা-মৌলভীবাজার রুটে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামলী পরিবহন।
ভাড়া:
৩৫০ টাকা), হানিফ এন্টারপ্রাইজ ট্রেনে করে যেতে হলে ঢাকার কমলাপুর থেকে সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনে করে কুলাউড়া স্টেশনে নামতে হয়। ঢাকা থেকে যেসকল ট্রেন সিলেট রুটে চলাচল করে সেগুলো হলো – পারাবত এক্সপ্রেস (মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৬:৪০ মিনিটে), জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (সপ্তাহের ৭ দিনই দুপুর ২ টায়) ঢাকা হতে ছেড়ে যায়। যোগাযোগ: বিমান পথে যেতে হলে মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, রবি সপ্তাহের এই চার দিন ঢাকা-সিলেট রুটে বিমানে করে যাওয়া যায়। ভাড়া ৩০০০ টাকা।