নাসিম রুমি: ভারতে রাজ্যগুলির মধ্যে বিভিন্ন কারণে মহারাষ্ট্র অন্যতম। মুম্বাই বিনোদনের শহর। মুম্বাই আনন্দ- ফুর্তির শহর। মুম্বাই ফিল্ম ষ্টারদের শহর। মুম্বাই ক্রিকেট স্টাদেরও শহর। মুম্বাই ব্যয়বহুল শহর। পাঁচবার মুম্বাইতে আমার ভ্রমন করা হয়েছে। যদিও ব্যয়বহুল শহর তার পরও পর্যটকদের কাছে মুম্বাই সর্বদা স্বর্গরাজ্য। মুম্বাইয়ের গেট অব ইন্ডিয়ার নিকটেই পাঁচতারা হোটেল তাজ এখানে প্রায় মুম্বাই য়ের ছবির শুটিং হয়। যা- হোক ২০১৭ সালে কলকাতার হাওড়া ষ্টেশন থেকে দুরান্ত এক্সপ্রেসে চেপে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। চব্বিশ ঘন্টার পর মুম্বাই ষ্টেশনে পৌছাঁইলাম। সকাল দশটার সময় সিলর্ড হোটেলের ডবল বেডের একটি কক্ষ ১৬০০রুপির বিনিময় থাকার ব্যবস্থা হয়ে গেল। যেহেতু আমি ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত একাধিক বার মুম্বাই তে সফরে এসেছি তাই মুম্বাইয়ে শহর আমার কাছে অতি পরিচিতি। বিশেষ করে বান্দ্রা এলাকাটা।
বান্দ্রা এলাকাতে ফিল্ম ষ্টারদের বসবাস। ক্রিটেক তারকারাও বান্দ্রা এলাকাতে বসবাস করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। অধিক অংশ সময় বান্দ্রা সমুদ্র সৈকতেই আমি সময় অতিবাহিত করেছি। বান্দ্রা সমুদ্রের সঙ্গেই শাহরুখ খানের বিলাস বহুল বাসভবন। তার বাসায় গিয়েছিলাম তখন তিনি পরিবারসহ অষ্ট্রেলিয়াতে অবস্থান করেছিলেন। আরব সাগরের তীরে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাই শহরে দেখার অনেক কিছুর রয়েছে। তবে হাতে সময় কম থাকলে এম টি ডি সির হাফ ডে প্যাকেজ ট্যুরের বাসে ঘন্টাচারেকে দেখে নেওয়া যায় মেরিন ড্রাইভ গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া হ্যাঙ্গিং গ্যার্ডেন কমলা নেহরু পার্ক চৌপাটি মণিভবন, তারাপোরওয়ালা অ্যাকোয়ারিয়াম প্রিন্স অব ওয়েলস মিউজিয়াম জাহাঙ্গির আর্ট গ্যালারি প্রভৃতি। দিনে সি এস টি ষ্টেশনে এমটি ডিসির কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যায় হাফ ডে টিপের বদলে ফুল ডে টিপে গেলে দেখিয়ে দেওয়া হবে কিছু দুরের জুহু বিচ, ফিল্ম সিটি সঞ্জয় গান্ধি ন্যাশনাল গার্ডেন পার্ক, লায়নস সাফারি পার্ক, কানহেরি কেভস প্রভৃতি মোটামুটি জনপ্রতি ৩০০-৩৫০টাক। এসি বাস সার্ভিস পাওয়া যায়, শুধু গরমকালে। খাওয়া খরচ আলাদ। ভোর ৬.৩০ মিনিট থেকে বাস ছাড়তে শুরু করে।এছাড়া প্রাইভেট গাড়িভাড়া করেও ঘুরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া চার পাঁজনের জন্য মোটামুটি ৪,০০০ টাকা প্রতিদিন।
কিভাবে যাবেন:
হাওড়া থেকে মুম্বাই ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস যায় ১২৮৬০ গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, ১২২৬২ দুরন্ত এক্সপ্রেস,১২৮১০ মুম্বই মেল (ভায়া এলাহাবাদ) উল্লেখ্য মুম্বাইতে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য হোটেলের বিষয়ে বেশ কড়াকড়ি নিয়ম সহজে আবাসিক হোটেল পাওয়া যায় না।
নাসিম রুমি, সাংবাদিক, লেখক ও পর্যটক