নাসিমরুমি: আজ ২০ জানুয়ারী ২০১৮ সাল। কলকাতা থেকে দীঘাতে এসে নিউ ওয়ান এন ওয়ানলি হোটেলে অবস্থান করলাম। আমার সফর সাথী ছিলেন হাজী মোঃ সারোয়ার। এই হোটেলটি চমৎকার ও পরিছন্ন। সৈকতের অতি নিকটে বলে পর্যটকরা এই হোটেলেই অবস্থান করতে অধিক স্বাছন্দবোধ করেন। নিউ ওয়ান এন ওয়ানলি হোটেলটির অবস্থান নিউ দীঘাতে।
এর পাশেই রয়েছে রাজিত হোটেল। নটাও উন্নত মানের অভিজাত হোটেল। সকালে দীঘাতে অবস্থান করে প্রথমে চলে গেলাম অমরাবতি উদ্যানে। সত্যিই চমৎকার। ফুলে-ফুলে ভরা এই উদ্যানটি। লেকে বোটিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। ছোট হলেও জাপানের আদলে এই উদ্যানটি পর্যটকদের মুগ্ধ করবেই।
এর পর একটি গাড়ী ভাড়া করে চলে আসলাম তালসারি সৈকতে, অতপর উদয়পুর সৈকতে। ২টি সৈকতে নির্জনতা আছে। উদয়পুর সৈকতে টাটকা সমুদ্রে মাছ সাবার করতে যেমনটি সাধ তেমনি আনন্দও পাওয়া যায়। কিছু পর্যটক উদয়পুর সমুদ্র সৈকতে তীরে বসে বিয়ারের ক্যানে চুমুক দিয়ে সমুদ্রের গভীরতার দিকে তাকিয়ে উপভোগ করছেন আর তখন আমি আর সারোয়ার ভাই সমুদ্রের টাটকা মাছ খেয়ে ক্ষুধা নিবারন করছি।
সারোয়ার ভাই হাজী মানুষ তাই মাতালদের তিনি এরিয়ে চলেন তাই দীর্ঘ সময় সৈকতে থাকার সম্ভব হয়নি অনেকেই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো অতপর সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে এসে বিশ্রাম নিয়ে। রাতে দীঘার জোয়ারে উত্তাল টেউ এর সঙ্গে কিছু সময় অতিবাহিত করে হোটেলে ফিরে, এসে ডিনার পর্ব শেষ করে নিদ্রার মাঝে হারিয়ে গেলাম। পরের দিন কলকাতার উদ্দেশে দীঘাকে বিদায় জানিয়ে ট্রেনে অবস্থান করলাম। আমার আরও একটি দিন দীঘাতে থাকার বাসনা ছিল। কিন্তু সারোয়ার ভাই ভীষন ব্যস্ত মানুষ তাই সম্ভব হয়নি।
দীঘায় নতুন সংযোগ হয়েছে কাজলাদীঘি পার্ক। এখানে বোটিং ব্যবস্থা রয়েছে। টয় ট্রেনে চেপে পার্কটি প্রদর্শন করলে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও উৎফুল্ল হন। ফুলে-ফুলে ঢাকা কাজলদীঘি পার্কটি পর্যটকদের বাড়তি পাওয়ানা। দীঘা ও মন্দারমানিতে থাকার জন্য অসংখ্য হোটেল রয়েছে।
দীঘাতে এসে নিউ দীঘাতে থাকাটাই উত্তম। মন্দারমানিতে সি-ষ্টার রির্সোট ও রোজভ্যালী রির্সোট অভিজাত ও ব্যয়বহুল। গোল্ডেন বিচ রির্সোট ও শান্তি নিকেতনের হোটেলের পরিবেশও চমৎকার। যদি বাগিচা পছন্দ করেন তাহলে লিভ-সি বেলীতেই থাকাটা উত্তম।
নাসিমরুমি
সাংবাদিক, পর্যটক ও লেখক