নাসিম রুমি: দিল্লী থেকে দেরাদুন হয়েই মুসৌরি আসতে হয়। দার্জিলিং, সিমলা, মানালীর মতো মুসৌরি শৈলশহরে ম্যালকে কেন্দ্র করে হোটেল পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
ম্যালে গাড়ী চলাচল নিষিদ্ধ, রিক্সা চলে অনেক । দেরাদুন থেকে ৩৫ কিমি দূরে মুসৌরি শৈলশহর ।
মুসৌরিতে কোনো ট্যুর ট্রাভেলস দোকান বা কোম্পানি নেই । দেরাদুন আর কেম্পটি দুটো ট্যাক্সি স্ট্যান্ড আছে এবং ইউনিয়ন নির্ধারিত ফিক্সড রেট দিয়ে ট্যাক্সি পাওয়া যায় । এবং মুসৌরির সমস্ত গাড়ী ছোটো গাড়ী। কোনো বড় গাড়ী মুসৌরিতে চলে না । ১৪ কিমি দূরে মধুবন স্ট্যান্ডে কিছু বড় গাড়ী পাওয়া যায় তারা হোটেলে এসে দাঁড়াতে পারে না । এই তথ্য সমস্ত পর্যটক দের মুসৌরি ভ্রমনের আগে জেনে রাখা ভালো।
মুসৌরির প্রধান প্রধান পর্যটন কেন্দ্র গুলো হলো:
◆ ১) মুসৌরি লেক: দেরাদুন থেকে মুসৌরি আসতে গিয়ে রাস্তার পাশে মুসৌরি লেক । সিঁড়ি বেয়ে অনেকটা নিচে নামতে হয় । বোটিং, হরর হাউস, গেমস ইত্যাদি নিয়ে মুসৌরি লেক ।
◆ ২) ভাট্টা ফলস: কেম্পটি ফলস ছাড়া মুসৌরির অন্য যে জলপ্রপাত বিখ্যাত সেটা হলো ভাট্টা ফলস । তবে এখানে ট্যুরিস্ট এর ভিড় কম । এখানে রোপওয়ে আছে । রোপওয়ে দিয়ে আপ ডাউন পথে পাহাড়ের নীচে পার্কের মধ্যে ভাট্টা ফলস ।
◆ ৩) কেম্পটি ফলস: মুসৌরি থেকে ১৪ কিমি দূরে কেম্পটি জলপ্রপাত । এটি হলো মুসৌরির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র । এখানেও রোপওয়ে সার্ভিস আছে । পাহাড়ের নিচে কেম্পটি জলপ্রপাতে পৌঁছানো যায় । এখানে স্নান করার সুযোগ আছে ।
◆ ৪) লালতিব্বা: মুসৌরি ম্যাল ৫ কিমি দূরে মুসৌরির উচ্চস্থান থেকে পাহাড়রেঞ্জ দেখার জন্য বিখ্যাত ।পর্যটকদের বিশেষ ভাবে এই দৃশ্যটি মুগ্ধ করে।
◆ ৫) গান হিল: মুসৌরি ম্যাল থেকে রোপওয়ে সার্ভিসে পৌঁছে যান গানহিল । এই গানহিল থেকেই নিচের দুনভ্যালি সুন্দর দেখা যায় । অপরূপ সুন্দর সেই দৃশ্য । সন্ধ্যাবেলার দুনভ্যালি দেখতে ভারি সুন্দর লাগে ।
সন্ধ্যাবেলা সময় কাটান মুসৌরি ম্যালে । মুসৌরি ঘুরতে মিনিমাম দুদিন সময় লাগে ।