নাসিমরুমি: টানা ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে গেছেন লাখো পর্যটক। বিপুল পর্যটকের কারণে বৃহস্পতিবার রাতেই বিভিন্ন আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালেও অনেক পর্যটক এসেছে। কক্সবাজার শহরের সাড়ে ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেলে পর্যটক ধারণক্ষমতা এক লাখ বিশ হাজার। তবে এবারের ছুটিতে দেড় লাখ পর্যটক অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন, কলাতলী আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান।
তিনি জানান, পর্যটকদের সুবিধার্থে এখনও হোটেল ভাড়ায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাবার হোটেল, রেস্তোরাঁয় পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে। তাছাড়া রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পর্যটকদের।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মূল তিনটি পয়েন্টে আজ সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। দুপুরে সৈকতের তিনটি পয়েন্টেই ৫০ হাজার পর্যটক অবস্থান করছে। একইভাবে হিমছড়ি, ইনানী ও সেন্টমার্টিনেও পর্যটকদের দেখা মিলছে।
এসব দর্শনীয় স্থানগুলোতে নির্বিঘ্নে এবং স্বস্তি নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে পর্যটকদের। পর্যটকরা জানিয়েছেন, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে ভ্রমণের জন্য তাদের প্রথম পছন্দ কক্সবাজার। বিশাল সমুদ্রের নীল জলরাশি ও প্রকৃতির ছোঁয়া বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
এদিকে সমুদ্রে গোসলের ক্ষেত্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে লাইফগার্ড কর্মী ও বিচ কর্মীরা। তাছাড়া পর্যটক আগমন উপলক্ষে টুরিস্ট পুলিশ সৈকতে টহল জোরদার করেছে।