নাসিম রুমি: ফো চু আর মো চু নদীর সংগমে ভুটানের অতীত রাজধানী পুনাখা। প্রায় সাড়ে চার হাজার ফুট উচ্চতার এই ছোট্র পাহাড়ি শহর বর্তমানে ভুটানের অন্যতম সেরা পর্যটকেন্দ্র। ভুটানের প্রধান লামার কর্মস্থল এই শহরেই ভুটানের নতুন রাজার অভিষেকও হয় এখানে। থিস্পু থেকে পুনাখার দূরত্ব ৭৬ কিলোমিটার। কমবেশি ৪,৫০০টাকায় গাড়ি ভাড়া করে সকালে বেরিয়ে সন্ধের মধ্যেই থিস্পু ফিরে আসা যায়। থিস্পু থেকে পুনাখা। যাওয়ার রাস্তাটা ভাবি সুন্দর।
থিস্পু থেকে সিমতোখ জংয়ের রাস্তা ধরে চড়াই পথে, উঠেলে পোঁছে যাবেন দোচুলা পাস। প্রায় ১০ হাজার ফুট উচ্চতার এই পাসে কিছুক্ষণ সময় কাটানো এক অভাবিত অনুভুতি। এই পাসের উপর ২০০৩ সালে রানির তৈরি ১০৮ টা চোর্তেন আছে। আকাশ পরিস্কার থাকলে, এখান থেকে হিমালয়ের বেশ কয়েকটি শৃঙ্গ দেখা যায়। এই পথের হংসোতে আপনার স্পেশ্যাল পারমিট দেখাতে হবে। দোচুলা থেকে রাস্তা নেমেছে নীচে। পুনাখার একমাত্র আকর্ষণ ফো চু ও মো। থিম্পু থেকে সকাল ছয়টায় প্রাইভেট গাড়ি দিয়ে পুনাখায় রওয়ানা হয়ে পুনাখার পুনাখা জং এবং তার আশে পাশের পর্যটক মনোরম স্থানগুলি দেখে রাত আটটার মধ্যে থিম্পু ফিরে আসা যায়।
চু- র সংগমস্থলে সুবিশাল পুনাখা জং থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে এই জং থেকে অতীতে দেশ শাসন করা হত। নদীর পরিখা দিয়ে ঘেরা কাঠ ও পাথরে তৈরি বিরাট সাততলা স্থাপত্যটি ভুটানের অন্যান্য জংয়ের মতো পেরেকের ব্যবহার ছাড়াই নির্মিত হয়েছে।একটা ঝুল সেতু পেরিয়ে এখানে পোঁছোতে হয়। জংয়ের পিছনে শ্যামলিম পর্বতশ্রেণি। ভিতরে অপূর্ব কাঠের কাজ। মন্দিরের গায়ে সুন্দর, নিখুঁত দেওয়ালচিত্র অস্কিত জংয়ের একাংশে প্রশাসনিক দপ্তর। দোতলায় লামাদের বাস জংয়ের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে দেখবেন বড়ো চোর্তেন, বোধিবৃক্ষ, নাগরানির মন্দির, ভুটানের প্রথম রাজা উগিয়ের ওয়াংচুকের ম্মৃতিবিজড়িত হলঘর। পুনাখা থেকে ১৮ কিলোমিটার পশ্চিমে রয়েছে পুন্টসো পেলরি প্যালেস। এছাড়া একই যাত্রার দেখে নিেেত পারেন ২১কিলোমিটার দূরের ওয়াংদি ফোদরং শহর ঐতিহাসিক জং। নদীর ধারে পার্বত্য গিরিশিরার উপর বহু প্রাচীন শহর ওয়াংদি ফোদরং স্থানীয় মানুষের কাছে ওয়াংদি নামেই পরিচিত।
কিভেবে যাবেন:
সড়কপথে রাজধানী থিম্পু থেকে পুরাখার দূরত্ব ৭৬ কিলোমিটার। দাওয়া পরিবহণের বাসে যাওয়া যায়। সকাল সাড়ে ৮টা এবং দুপুর ২টো নাগাদ বাস আসছে পুনাখার উদ্দেশে। সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা। ভাড়া ১২৫টাকা তবে বাসে যাওয়ার ঝক্কি অনেক সবচেয়ে ভালো হয় গাড়ি নিয়ে গেলে। ভাড়া পড়বে ৩,৫০০-৪,৫০০ টাকা। ঢাকা থেকে বিমানে সরাসরি ভুটানের পারো বিমান বন্দরে যাওয়া যায়। ভিসার ঝামেলা নেই। বিমান বন্দর থেকে পনোর কিংবা একমাসের ভিসা প্রদান করা হয়।
কোথায় থাকবেন:
পুনাখায় থাকার জন্য রয়েছে হোটেল ওয়েলকাপ ভাড়া ১,০০০- ১,৫০০ টাকা। হোটেল ভাড়া ১,৮০০-২,২০০ টাকা দামচেন রির্সট ভাড়া ২,০০০ -২,৮০০ টাকা ১,৬০০- ২,২০০ টাকা। থিম্পু ও পারোতে থাকার জন্য অসংখ্য হোটেল রয়েছে।