English

23 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

কাঠমুন্ডু থেকে পোখারা

- Advertisements -

নাসিম রুমি: কাঠমুন্ডু থেকে বাসে পোখারা যাতায়াত ব্যবস্হা আছে। কাঠমান্ডুতে যে হোটেলে উঠবেন তাদের বললেই তারা আপনাকে সব ব্যবস্থা করে দেবে। অথবা আপনিও একটু খবর নিয়ে পোখারা যাওয়ার সব ব্যবস্থা করে ফেলতে পারেন গুগলের সাহায্য নিয়ে। পোখারা যাওয়ার পথে রাস্তার পাশের খাবারের রেস্তোরাঁগুলোতে বাস থামবে।

সেগুলোতে খাওয়াদাওয়াসহ আপনার প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিতে হবে আপনাকে। পোখারার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আছে ফেওয়া হ্রদ ও তার আশপাশের এলাকা, ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা, ডেভি’স ফলস, ভারাহি মন্দির ও বেশ কিছু জাদুঘর। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা ঘুরে বাসযাত্রায় বেশ আনন্দ পাবেন। পোখারা শহর অনেক গুছানো। সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে।

পোখারা পৌঁছে সময় পেলে হোটেলে ব্যাগ বোঁচকা রেখে চলে যান লেকের ধারে। লেকের পাড়ে বসে, পাহাড়ের আড়ালে সূর্যাস্ত দেখা অসাধারণ স্মৃতি হিসেবে থাকবে আপনার আজীবন। পোখারার মূল আকর্ষণ ফেওয়া হ্রদ এবং এর ওপর করা প্যারাগ্লাইডিং। পাহাড়ের ওপর থেকে ফেওয়া হ্রদের ওপর দিয়ে উড়ে বেড়ানোর সময় পুরো পোখারা উপত্যকা দেখতে পাবেন।

এই হ্রদের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কের পাশে পাবেন পুরো ট্যুরিস্ট জোন এবং হোটেল ও দোকানপাট। মূল শহরটি এই লেক রোড থেকে বেরিয়ে ভেতরের দিকে। পোখারার সারাংকোট থেকেও আপনি দেখতে পারেন হিমালয়ের কোলে সূর্যোদয়। ভোর হওয়ার আগে আপনাকে যেতে হবে সারাংকোট। মাচাপুচ্ছুরে পর্বতের গায়ে সূর্যোদয় দেখতে বহু মানুষ আসে এখানে। আগের মতোই এখানেও হোটেলে থাকা–খাওয়া এবং ঘোরাঘুরির সব ব্যবস্থা করতে পারবেন। হোটেলের জন্য এখানে খরচ পড়বে ৬ হাজার ৮ হাজার বাংলাদেশি টাকার মতো। কাঠমান্ডুর থামেলে একটি রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যাকালীন নেওয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।কাঠমান্ডুর থামেলে একটি রেস্তোরাঁয় সন্ধ্যাকালীন নেওয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এখানে ভাড়া পাওয়া যায় বাইসাইকেল বা মোটরবাইক/স্কুটার। ভাড়া করা তাই বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল/স্কুটারে করে নিজের পছন্দমাফিক ঘুরতে বেশ মজা। আর না হলে, সারা দিনের জন্য ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন অথবা সাধারণ যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন। বাইসাইকেলের ভাড়া সারা দিন ৫০০ টাকার মতো পড়বে। মোটরবাইক/স্কুটার নিতে পারবেন যদি আপনার বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে। লাইসেন্স না থাকলে পাসপোর্ট জমা রাখতে হতে পারে।

সন্ধ্যায় ক্যাফে আর পাবগুলো সরব হয়ে ওঠে পোখারার লেক রোডে। বিভিন্ন জায়গায় এক কাপ কফির সঙ্গে খেলতে পারেন স্নুকার বা অন্য কোনো বোর্ড গেম। ঘুরে দেখতে পারেন বিভিন্ন দোকান, কেনাকাটার জন্য। পোখারায় বেশ কিছু নামকরা নেওয়ারি (নেপালি) খাবারের দোকান আছে।

রাতের খাবার সারতে পারেন এগুলোতে। পোখারাতে দর্শনীয় জায়গাগুলো হয়তো এক দিনেই দেখে ফেলা সম্ভব। তবে তারপরও পরামর্শ থাকবে পোখারাতে এক দিন বেশি থাকার। শহর, হ্রদ মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর জায়গা পোখারা। আর হাতে টাকা থাকলে পোখারা থেকে মাউন্ট এভারেস্ট সাইট সিয়িং ফ্লাইটে উড়ে আসতে পারেন এভারেস্টের চূড়ার কাছ থেকে।

খরচ পড়বে প্রতিজনের জন্য ২০০ ডলার বা ১৭ হাজার বাংলাদেশি টাকার মতো। পোখারা থেকে কাঠমান্ডু ফিরবেন বাসে করে। বিকেল ও সন্ধ্যাটা ঘুরেফিরে, কিছু শপিং করে চলে যাবে। পরদিন ফিরতি ফ্লাইট। একটু সময় নিয়ে চলে যান এয়ারপোর্টে। যথারীতি চেষ্টা করবেন বাঁ দিকে আসন নেওয়ার। তাহলে ফিরতি পথেও দেখা হয়ে যাবে হিমালয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন