ক্যারিয়ারের শেষটা জয়ের রঙে রাঙাতে পারলেন না ভারতের টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জা। ভারতের টেনিস রানীকে খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানতে হলো হারের হতাশা নিয়ে। গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মধ্য দিয়ে। তখনই ঘোষণা দিয়েছিলেন দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপই হবে তার শেষ টুর্নামেন্ট। পরশু নিজের সেই শেষ টুর্নামেন্ট খেলতে নেমে প্রথম রাউন্ডেই হেরে গেছেন সানিয়া মির্জা ও তার সঙ্গী।
সানিয়া খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ টুর্নামেন্টটা খেলতে নেমেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ বছর বয়সী মেডিসন কেসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। হয়তো আশা ছিল শিরোপা জিতেই বিদায়টা রাঙানোর। কিন্তু শিরোপা দূরের কথা, সানিয়া ও তার সঙ্গী প্রথম রাউন্ডের বাধাই পেরোতে পারেনি পারেননি। পরশু সানিয়া-মেডিসন জুটিকে ৬-৪, ৬-০ গেমে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেছেন ভেরোনিকা কুদেরমেতোভা ও লুইদমিলা শামসোনোভা জুটি।
হারের পর মার্কিন মেয়ে মেডিসন হয়তো পরের টুর্নামেন্ট নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। আর সানিয়া? ভারতের টেনিস কন্যা নিজের নামের আগে ‘সাবেক’ লিখে এখন নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায়। সামনের পথে কোন ভুবনে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন, সেটা বলবে ভবিষ্যত্। তবে এরই মধ্যে তিনি জড়িয়ে গেছেন নারী ক্রিকেটের সঙ্গে। ভারতের নারী আইপিএল দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর নারী দলের ক্রিকেট পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বিদায়টা রঙিন না হলেও নিজের ঝলমলে ক্যারিয়ার নিয়ে খুশি এক সন্তানের মা ৩৬ বছর বয়সি সানিয়া। ১৯৮৭ সালে মুম্বাইয়েজন্ম নেওয়া সানিয়ার টেনিসে হাতেখড়ি ছয় বছর বয়সে। ২০০৩ সালে ১৬ বছর বয়সে নাম লেখালেন পেশাদার টেনিসের রঙিন দুনিয়ায়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পা রেখে দ্রুতই লাইমলাইটে চলে আসেন। দৈহিক সৌন্দর্য আর র্যাকেটের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে দেশ ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বিশ্বব্যাপী। জয় করে নেন টেনিসপ্রেমীদের মন। কোর্টে উত্থানপতনের ভেতর দিয়ে পেশাদার টেনিসে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ ২০টি বছর। দুই দশকের পথ হেঁটে পেছন ফিরে তাকিয়ে রোমাঞ্চিত সানিয়া।