নাসিম রুমি: তাপমাত্রার উষ্ণতা বাড়লেও শীতল থেকে শীতলতর হচ্ছে সম্পর্ক। যে শীতলতার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় বিবাহবার্ষিকীর পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়। মোমবাতির আলোয় নৈশভোজ সেখানে ভিন্গ্রহের আয়োজন!
ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বিবাদ, জটিলতা নতুন নয়। দু’দেশের ক্রীড়াদম্পতির সম্পর্কের চিড় অনেকটা তেমনই আলো-আঁধারিতে ঢাকা। সম্পর্কের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল গত বছর থেকেই। তার পর থেকে তা শুধুই বেড়েছে। যেটুকু আঠা এখনও রয়েছে, তা সন্তান ইজ়হান মালিক মির্জা।
সে-ই সানিয়া মির্জ়া এবং শোয়েব মালিকের সম্পর্কের এখন একমাত্র যোগসূত্র। বুধবার ছিল সানিয়া-শোয়েবের বিবাহবার্ষিকী। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল এক হয়েছিল চার হাত। ক্রিকেট ব্যাট বা টেনিসের র্যাকেটের ঢোকাঢুকি ছিল না।
বরং কাঁটাতারের বিভেদ, সমালোচনা ঢাকা পড়েছিল দুই ক্রীড়াবিদের ভালবাসায়। হায়দরাবাদ হোক বা দুবাই অথবা করাচি, হাতে হাত রেখে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে দু’জনকে। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ককে বিয়ে করলেও সানিয়া ভারতের হয়েই টেনিস খেলে গিয়েছেন। শোয়েবও ঘরজামাই হয়ে সচিন তেন্ডুলকরদের সতীর্থ হওয়ার চেষ্টা করেননি।
সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই ভেসে উঠত সানিয়া-শোয়েবের ছবি। একসঙ্গে। পাশাপাশি। চোখে চোখ। হাতে হাত। সেই সমাজমাধ্যমও এ বার চুপ। সানিয়াকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাননি শোয়েব। টেনিস তারকাও বিশেষ দিনের কথা ভাগ করে নেননি অনুরাগীদের সঙ্গে। কিছু আগেও সানিয়ার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন শোয়েব। গত কয়েক মাসে তাঁদের পারিবারিক পোস্ট বলতে ছেলে ইজ়হানের সঙ্গে। কোথাও শোয়েবের সঙ্গে সানিয়া নেই। সানিয়ার পাশেও শোয়েব নেই।
কোথাও নেই বিয়ের জন্মদিনের কথা। বিচ্ছেদ নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। পরস্পরকে কখনও দোষারোপ করেননি। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন দু’জনেই। সানিয়া টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন। শোয়েব এখনও টেনে নিয়ে চলেছেন ক্রিকেটজীবন। বৈবাহিক জীবন টেনে নিয়ে যাওয়ার তেমন অভিপ্রায় তাঁদের নেই বলেই সূত্রের খবর। পাক অভিনেত্রী আয়েষা ওমরের সঙ্গে শোয়েবের ঘনিষ্ঠতাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল সম্পর্কের টানাপড়েন।