এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার উইম্বলডনের নারী এককের ফাইনালে উঠে গেলেন তিউনিসিয়ান তারকা ওন্স জাবেউর। সেমিফাইনালে তিনি হারালেন বেলারুশিয়ান তারকা এরিনা সাবালেঙ্কাকে। দ্বিতীয় বাছাই সাবালেঙ্কাকে ৬-৭ (৫-৭), ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারিয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠেন ষষ্ঠ বাছাই জাবেউর।
অথচ, প্রথম সেটের পরে দেখে মনে হচ্ছিলো এরিনা সাবালেঙ্কার কাছে হেরেই বিদায় নিতে হবে জাবেউরকে। পরপর দু’বার উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠা হবে না তার। কিন্তু হাল ছাড়লেন না তিউনিসিয়ার এই টেনিস তারকা। প্রথম সেট হারলেও পরের দুই সেট জিতে বাজিমাত করলেন তিনি।
খেলার শুরু থেকেই তুমুল লড়াই জমে উঠেছিলো দু’জনের মধ্যে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দিচ্ছিলেন না। প্রতিটি পয়েন্টই গড়াচ্ছিল শেষ পর্যন্ত। একবার সাবালেঙ্কা এগোচ্ছিলেন তো আরেকবার জাবেউর। নিজেদের সার্ভিস ধরে রাখছিলেন দু’জনই। অনেক চেষ্টা করেও দু’জন দু’জনের সার্ভিস ভাঙতে পারছিলেন না।
দেখে বোঝা যাচ্ছিল, টাইব্রেকারে গড়াবে প্রথম সেট। সেটাই হল। সেখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ৪-৪ অবস্থায় প্রথম ধাক্কা দিলেন সাবালেঙ্কা। জাবেউরের দু’টি সার্ভিস থেকে পয়েন্ট তুলে নিলেন তিনি। সেখান থেকে আর ফিরতে পারলেন না তিউনিসিয়ার খেলোয়াড়। ৭-৫ টাইব্রেকার জিতে প্রথম সেট নিজের নামে করলেন বেলারুশিয়ান তারকা সাবালেঙ্কা।
দ্বিতীয় সেটে আরও আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন তিনি। প্রথম গেমেই জাবেউরের সার্ভিস ভেঙে দেন তিনি। এরপর নিজের সার্ভিস ধরে রাখেন। তবে জাবেউরও ছাড়ার পাত্রী নন। পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েননি। অষ্টম গেমে সাবালেঙ্কার সার্ভিস ভাঙার সুযোগ পান জাবেউর। ফলে ৪-৪ দাঁড়ায় খেলা। শেষ গেমে আবার সাবালেঙ্কার সার্ভিস ভেঙে সেট নিজের নামে করে নেন তিনি। খেলা গড়ায় তৃতীয় সেটে।
তৃতীয় সেটে দাপট দেখালেন জাবেউর। সাবালেঙ্কার শক্তিশালী শটের মোকাবিলা তিনি করছিলেন বুদ্ধি দিয়ে। সাবালেঙ্কার শক্তিকে তার দুর্বলতা বানিয়ে দিলেন জাবেউর। তাকে বাধ্য করলেন ভুল করতে। আর সেখান থেকেই খেলার রাশ নিজের হাতে নিলেন তিনি।
ষষ্ঠ গেমে সাবালেঙ্কার সার্ভিস ভাঙলেন। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলল সেই গেম। বার বার সার্ভিস ভাঙার জায়গায় চলে যাচ্ছিলেন জাবেউর। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে ফিরে আসছিলেন সাবালেঙ্কা। শেষ পর্যন্ত পারলেন না। সার্ভিস ভেঙে দিলেন জাবেউর। গোটা ম্যাচে অনেকগুলি ডাবল ফল্ট করলেন সাবালেঙ্কা। তার খেসারত দিতে হল দ্বিতীয় বাছাইকে। শেষ পর্যন্ত নিজের সার্ভিস ধরে রেখে উইম্বলডনের ফাইনালে পা দিলেন জাবেউর।