করোনাকালে স্টাপলারের পিন দিয়ে চেইন তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড করলেন সিলেটের ছেলে শৈলেন্দ্র দাস রূপক। ১৯১৭.৭৮ মিটার বা ৬২৯১ ফুট ৯২ ইঞ্চি লম্বা চেইন তৈরি করে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি। গিনেস বুকের ভাষায় ‘দ্য লংগেস্ট চেইন অব সেফটিপিন’ বলে খ্যাত এই রেকর্ডটি গড়েছেন রূপক।
ইতোমধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকের ওয়েবসাইটে রূপকের তৈরি করা চেইনটিই বিশ্বের দীর্ঘতম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। যা ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এবং একই তারিখে স্বীকৃতিস্বরুপ একটি সনদপত্র ই-মেইল মারফত রূপককে দেওয়া হয়। আগামী সপ্তাহে সনদপত্রটির কপি রূপকের হাতে পৌঁছানের কথা রয়েছে।
শৈলেন্দ্র কুমার দাশের ডাকনাম রূপক। তিনি নগরীর শিবগঞ্জ সেনপাড়া এলাকার প্রয়াত স্বদেশ রঞ্জন দাশ ও পূর্নিমা রানী দাশের দ্বিতীয় ছেলে। বড় ভাই ডা. সত্যেন্দ্র কুমার দাশ (দীপক)। যিনি পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
হঠাৎ করে কিভাবে স্টাপলারের পিন দিয়ে চেইন তৈরির কথা মাথায় এলো, জানতে চাইলে রূপক বলেন, ‘যখন লকডাউন চলছিল, তখন কর্মব্যস্ততা ছিল না। অবসর সময় কাটাতে গুগল-ইউটিউবে অনেক কিছু দেখি। দেখলাম, বাংলাদেশের একজন এটা দিয়ে গিনেসে নাম লেখিয়েছে। হাতের কাছেই এই স্টাপলারের পিন ছিল। সেই থেকে শুরু।’
রূপকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক বছর সময় লেগেছে এ চেইন তৈরিতে। গিনেস বুকের সব নীতিমালা মানার পর সব ডকুমেন্ট সাবমিট করেন তিনি। ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর গিনেস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পান রূপক।
এর আগে ২০২০ সালে ৫৭৫৩ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা চেইন তৈরি করে গিনেস জয় করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার প্রয়াত জগদীশ দেবের ছোট ছেলে পার্থ চন্দ্র দেব। এছাড়া, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভারতের মিনহাজুল মন্ডল স্টাপলারের ৮০ হাজার পিন দিয়ে সবচেয়ে দীর্ঘতম চেইন তৈরির রেকর্ড গড়েছিলেন। তার চেইনটির দৈর্ঘ্য ছিল ৬৬১.৬৬ মিটার। রূপকের তৈরি চেইনটি পরিমাপ করেন সিভিল কোর্ট কমিশনার পারভেজ আহমদ।